পোষ্যকে কে না ভালবাসে! আর পোষ্যের দেখভালের জন্য খরচ-খরচাও কম নয়। তবে এবার তার সঙ্গে একটা বাড়তি খরচও যোগ হতে চলেছে। কুকুর পুষলে মালিকদের দিতে হতে পারে ট্যাক্স। কোথায় এমন সিদ্ধান্ত লাগু হওয়ার সম্ভাবনা? আসুন শুনে নিই।
পোষ্য প্রেমের দরুন এবার পকেটে পড়তে পারে বাড়তি কোপ। কুকুর পোষার জন্য আলাদা করে পুরসভাকে কর-ও দিতে হতে পারে কুকুরের মালিকদের। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার ক্ষেত্রে এমনই ভাবনাচিন্তা করছেন পুরকর্তারা। আর যদি তা আইনে পরিণত হয়, তবে দেশে প্রথম এই ঘটনা ঘটতে চলেছে মধ্যপ্রদেশেই।
আরও শুনুন: দরজা খুলতেই তেড়ে এল কুকুর, খাবার ডেলিভারি করতে গিয়ে ৩ তলা থেকে ঝাঁপ যুবকের
সে রাজ্যের সাগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই শোনা যাচ্ছে। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা। পোষা কুকুরের কারণে এলাকার যত্রতত্র নোংরা হয়ে থাকে, যা অন্য অধিবাসীদের ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধাজনক। আর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দায়ভার কর্পোরেশনেরই। এরই সমাধানে পুরকর্তারা নয় এই কর লাগুর কথা ভাবছেন। অন্য পোষ্যদের ক্ষেত্রে নয়, কেবলমাত্র কুকুরদের জন্যই মালিকদের দিতে হবে এই কর। কেননা কুকুরদের কারণেই ওই এলাকায় নোংরা হয় বেশি, এবং এ ব্যাপারে সকলেই একমত হয়েছেন। পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা- এই দুট দিক মাথায় রেখেই পোষ্যের মালিকদের জন্য ধার্য হতে পারে এই কর। যদিও পুরোটাই এখন রয়েছে আলোচনার স্তরে। যদি সবুজ সংকেত মেলে, তবে আগামী অর্থবর্ষ থেকে তা চালু হতে পারে।
আরও শুনুন: বিয়ারের বোতলে হিন্দু দেবীর ছবি, বাজার থেকে পণ্য তুলে নেওয়ার দাবিতে সরব হিন্দুরা
যদিও এমন সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন কুকুর মালিকরা। তাঁদের অভিযোগ, অযথা তাঁদের উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। এর বদলে যদি একটা জায়গা নির্দিষ্ট করা যায়, যেখানে পোষ্যরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারে, তাহলেই সমস্যা মিটে যায়। যত্রতত্র নোংরা হওয়ার ব্যাপারটাই থাকে না। যদিও তাতে নোংরার সমস্যা মিটলেও নিরাপত্তার বিষয়টি থেকেই যায়। সম্প্রতি এক সমীক্ষা বলছে পথকুকুর বা পোষা কুকুরের উপর বিরক্ত ৬০ শতাংশ অধিবাসীই। মধ্যপ্রদেশের পুরসভার এই সিদ্ধান্ত তাই দেশে নজির হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।