ভারতীয় ক্রিকেট দুনিয়ায় এই মুহূর্তে সবথেকে চর্চিত যিনি, তিনি সূর্যকুমার যাদব। ব্যাট হাতে প্রতিনিয়ত বাজিমাত করছেন সূর্য, যা দেখে শুধু ভারতীয়রা নন, মন্ত্রমুগ্ধ গোটা ক্রিকেট-বিশ্ব। তাঁর এই সাফল্যের নেপথ্যে আছে স্ত্রী দেবীষার ভূমিকাও। তারকা ক্রিকেটার খোদ জানিয়েছেন সে-কথা। আসুন শুনে নিই।
কথায় বলে, সব সফল পুরুষের পিছনেই একজন নারী থাকেন। ভারতের তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। বলা যায়, এই মুহূর্তে কেরিয়ারের সোনার সময় কাটছে সূর্যকুমারের। গত বছর, অর্থাৎ ২০২২-এ টি-২০ ফর্ম্যাটে সর্বোচ্চ রান এসেছে তাঁর ঝুলিতেই। এক নম্বর ব্যাটসম্যানের তকমাও পেয়েছেন। সদ্যই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে সূর্যের রথ যত এগোবে, তত সমৃদ্ধ হবে ভারতীয় ক্রিকেট। প্রাক্তনরা তাই তাঁকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী। আর এই সাফল্যের পিছনে যে তাঁর স্ত্রী দেবীষার বড় ভূমিকা আছে, তাই-ই জানিয়েছেন তারকা।
আরও শুনুন: লক্ষ্য ছিল শুধু পাখির চোখে, মেসিকে এবার অর্জুনের সঙ্গে তুলনা মুকেশ আম্বানির
দেবীষার সঙ্গে সূর্যের প্রেম বেশ অল্পবয়সেই। সেই কলেজের দিনকাল থেকে। একটা নাচের অনুষ্ঠানে প্রথম দেখা। আর সেখান থেকেই মন দেওয়া-নেওয়ার পালা শুরু। সূর্যকুমারের স্ত্রী একজন নৃত্যশিল্পী। নাচ শেখানও তিনি। নাচের সূত্রেই জীবনের ছন্দে বাঁধা পড়েছেন দুজনে। ২০১৬ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। তার আগে পর্যন্ত এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাতে কাজ করতেন দেবীষা।
আরও শুনুন: টিমের কর্মীদের স্বার্থে করোনাকালে ৭০% কম বেতন, সবার চোখে মেসিই ছিলেন চে গেভারা
এই মুহূর্তে সাফল্যের নিরিখে সূর্যের যে জয়জয়কার, তার নেপথ্যে অনেকখানি সমর্থন আছে দেবীষার। সূর্যকুমার নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতেই পছন্দ করেন তিনি। আর সেই সময় ম্যাচ নিয়ে মোটেও কথাবার্তা বলেন না তাঁরা। সাফল্যের মুহূর্তে বহু মানুষের সমর্থন-ভালোবাসা পাচ্ছেন সূর্যকুমার। ২০২২ তাঁর কাছে যেন ভাগ্যের মোড় ঘুরে যাওয়া একটা বছর। কিন্তু তার আগে ছিল লড়াইয়ের দীর্ঘ পথ। কেরিয়ারে কম চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী থাকেননি সূর্যকুমার! আর সেই সব অন্ধকার দিনে তাঁকে ভরসা জুগিয়েছিলেন দেবীষাই। সাফল্য যখন অধরা ছিল, তখন দেবীষাই তাঁকে বলেছিলেন স্বপ্ন দেখা যেন তিনি বন্ধ না করেন। এক এক সময় তো নিজের প্রতিভা নিয়েই সন্দেহ করতে শুরু করেছিলেন সূর্যকুমার। ভেবেছিলেন বেশিদূর এগোনো হয়তো সম্ভব হবে না। চোট-আঘাতও ভালোই ভুগিয়েছে তাঁকে। জীবনের সেই সব হতাশ মুহূর্তে পাশে থেকেছিলেন দেবীষা। সূর্যকুমারকে বুঝিয়েছিলেন, সাফল্য একদিন আসবেই। হাল ছাড়তে নেই। তাঁর নিরন্তর সমর্থনে ভরসা খুঁজে পেয়েছিলেন ব্যাটার। বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি যে একজন নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠেছেন, তার অনেকখানি কৃতিত্ব স্ত্রী দেবীষারই প্রাপ্য। আর সে কৃতিত্ব স্ত্রীকে দিতে কোনোদিনই ভোলেন না দেশের এই তারকা ব্যাটার।