নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক হবেন যোগ্য প্রার্থীরাই, শুরু নির্বাচনের প্রক্রিয়া। কাউন্সেলিংয়ের জন্য ৬৫ জনকে তলব কমিশনের। শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিমানে বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় নয়া মোড়। মদ্যপ ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারির আরজি দিল্লি পুলিশের। প্রথম সপ্তাহেই দেরি করে ছাড়ল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পাক বোর্ড চেয়ারম্যানকে তোপ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় মিলল করোনার BF.7 ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ, আক্রান্ত ৪
বিস্তারিত খবর:
1. অবশেষে বঞ্চনা থেকে মুক্তি। নবম-দশমে অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করতে এদিন সল্টলেকের আচার্য সদনে ৬৫ জনকে কাউন্সেলিংয়ে ডেকেছে কমিশন। প্রায় ৬৬৫ দিন ধরে ধরনা মঞ্চে আন্দোলন করার পর এই সুযোগ পেয়ে হাসি ফুটেছে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে।
হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের মাধ্যমে স্কুলে নবম-দশম স্তরে সহকারী শিক্ষক পদে অবৈধভাবে চাকরির সুপারিশ পাওয়া ১৮৩ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। রিপোর্ট জানিয়েছিল, সুপারিশপত্র পাওয়া ১৮৩ জনের মধ্যে কাজে যোগই দেননি ১০২ জন প্রার্থী। সেই রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা করার পর বিচারপতি চলতি বছরের মধ্যেই ১০২টি শূন্যপদে অপেক্ষমান তালিকা থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। আর সেই নির্দেশ মেনেই ওই শূন্যপদগুলিতে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করেছে SSC। তবে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩৪টি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয় ও ক্যাটাগরিতে আর কোনও অপেক্ষমাণ প্রার্থী নেই। তাই সেগুলিকে কাউন্সেলিং-এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। আরও তিনটি পৃথক ক্ষেত্রে জটিলতা এড়াতে হাই কোর্টের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। বাকি শূন্যপদগুলির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
2. নতুন বছরে নন্দীগ্রামবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার। নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়ার সংযোগকারী সেতু তৈরি করবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এ কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই সেতুটি তৈরি হয়ে গেলে নন্দীগ্রাম তথা পূর্ব মেদিনীপুরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যাবে, এমনটাই মত রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্রের।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেন, পূর্ব মেদিনীপুরবাসী তথা নন্দীগ্রামবাসীর জন্য কখনও হাসপাতাল, কখনও তমলুক-দিঘা রেল যোগাযোগ, এমন অসংখ্য কাজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরে এই অঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে ফের নয়া উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি, জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। হলদি নদীর একদিকে নন্দীগ্রাম, অন্য দিকে হলদিয়া। কিন্তু দুই পাড়ের যোগাযোগের ভরসা একমাত্র ফেরি পরিষেবা। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই সেতুটি তিনি তৈরি করে দেবেন। গত বছর রাজ্য বাজেটেও এই সেতুর জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার প্রতিশ্রুতিমতোই সেই কাজ শুরু করল রাজ্য।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।