করোনার BF.7 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ এবার বাংলায়। চিহ্নিত ৪ আক্রান্ত ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা। অযথা দুশ্চিন্তার কারণ নেই, মত স্বাস্থ্যদপ্তরের। গঙ্গাসাগর নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার সুর মমতার গলায়। খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আরজি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কড়া আদালত। বাতিল আরও ১৪০ জনের চাকরি, নির্দেশ বেতন বন্ধের। একই মামলায় ২ শিক্ষকের চাকরি ফেরাল আদালত।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- আপাতত স্থগিত অমিত শাহের বঙ্গ সফর, অনিশ্চিত মোদি-নাড্ডার সভাও
আরও শুনুন: 31 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘রেফার’ নিয়ে কড়া রাজ্য, হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের
বিস্তারিত খবর:
1. চিনের অতি সংক্রামক করোনা ভ্যারিয়েন্ট BF.7 এবার বাংলায়। রাজ্যে হদিশ মিলল এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তে চারজনের। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, গত ১ মাসে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। তাতেই চারজনের শরীরে মিলেছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর হদিশ। তাঁদের মধ্যে একজন কলকাতায় বাস করলেও, আদতে তিনি বিহারের বাসিন্দা। তাঁর সংস্পর্শে আসেন ২২ জন। বাকি তিনজন নদিয়ার। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। ওই তিনজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন মোট ৩৩ জন। সংক্রমিত এবং সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। তবে এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই মত রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের। প্রোটোকল মনিটরিং টিম একটি বৈঠক করে। করোনার নয়া স্ট্রেন মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত হাসপাতালগুলিকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় উপযোগী হিসাবে তৈরি হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
2. বুধবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই মেলাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল তাঁর গলায়। কুম্ভ মেলার জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্য বরাদ্দ হলেও গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে তা হয় না। আক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও কেউ সাহায্য করেনি।’ এ ছাড়া বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া হয়নি, তা নিয়েও রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথ সুগম করতে প্রস্তাবিত ব্রিজটির ক্ষেত্রেও সাহায্য করেনি কেন্দ্র। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুড়িগঙ্গায় সেতুর প্রয়োজন। বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। শেষপর্যন্ত আমরা বাধ্য হয়ে চেষ্টা করছি নিজেদের মতো করে করার। ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ। আমরা নিজেদের মতো একটা ডিপিআর তৈরি করেছি।এত বড় যজ্ঞ। তার সামগ্রী জোগাড় করতে সময় তো লাগবেই। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি ভারত সরকারকে, কাজ হয়নি। আমরা আবারও অনুরোধ করব। নীতি আয়োগকেও অনুরোধ করব।” পাশাপাশি গঙ্গাসাগর থেকেই আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের টাকা চেয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজে কিছু টাকা দেওয়া হলেও তা এসেছে অর্থবর্ষের শেষে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘অর্থবর্ষের শেষে টাকা পেয়ে কাজ করতে না পারলে তো ওরা বলবে কাজ হয়নি।” এদিন গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে যেভাবে কেন্দ্রকে রাজনীতি না করে ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটাতে বললেন, তাতে কেন্দ্রের আচরণে যে তিনি বিরক্ত, তাই-ই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।