সিনেমার পর্দায় বান্টি-বাবলির চুরির রোমহর্ষক ঘটনা আমরা দেখেছি। সে অবশ্য নেহাতই গল্প। তবে বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটে, যা হার মানাতে পারে সিনেমাকেও। কেন এমন বলছি? কেননা, চোরাই মাল বয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য চেয়ে নাটকীয় ভাবে পুলিশকেই ফোন করল দুই চোর। তারপর? সে-ও এক নাটকীয় ঘটনা। আসুন শুনে নিই।
কথায় বলে, চোরে চোরে মসতুতো ভাই। তবে এখন যে দুই চোরের গল্প শুনব, তারা মাসতুতো ভাই নয়, বরং চোরে চোরে প্রেমিক-প্রেমিকা। দুজনেরই বয়স কুড়ি পেরিয়েছে। ইতিমধ্যে এদিক সেদিক চুরিতে হাতও পাকিয়েছে দুজনে। এবার ইচ্ছে ছিল বড়সড় একটা চুরি করে সপ্তাহান্তে নিউ ইউর্কে আনন্দে ছুটি কাটাবে। ভাবনামতো চুরিও করেছিল দুজনে। কিন্তু গোলমালটা বাধল পুলিশকে ফোন করায়।
আরও শুনুন: প্রেমের জোয়ারে ভেসে গেল সাধনা! প্রথমে মন দেওয়া-নেওয়া, পরে বিয়ে দুই সন্ন্যাসীর
মজাদার এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ জানাচ্ছে, সাহায্য চাওয়ার জন্য পুলিশের বিশেষ নম্বরে একটি ফোন আসে। দ্রুত তার উত্তর দেওয়ার জন্য অফিসাররা ফোন ধরেন। কিন্তু ওদিকে কেউ কথা বলে না। ফোন করেছেন, অথচ উলটোদিকের মানুষটিকে নীরব হয়ে থাকতে দেখে, খটকা লাগে অফিসারদের। কেননা বিশেষ নম্বরটিতে তাঁরাই ফোন করেন, যাঁদের সাহায্যের একান্ত দরকার। ব্যাপারটা তাহলে কী হল? খোঁজখবর নিয়ে যে বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল সেখানেই চলে যায় পুলিশ। অফিসাররা দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ নেই। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁরা আরও বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যে, এই ঘরের মালিক ঘরটিতে থাকেন না। তাহলে ঘরটিতে ঢুকল কারা? ঘরে ঢুকেই ওই যুবক ও যুবতীর হদিশ মেলে। তারা সম্ভবত ভেবেছিল, বাড়ির লোক হিসাবে পরিচয় দিয়েই পুলিশের চোখে ধুলো দেবে। কিন্তু সে কি আর এত সহজ কাজ! অতএব সিনেমায় যা হয়, বাস্তবে হল তার উলটো।
আরও শুনুন: ২০২২ সালে নেটদুনিয়ায় সবথেকে বেশি কাকে খুঁজেছেন ভারতীয়রা?
মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছিল যে, এই মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই-ই পুলিশকে ফোন করেছিল। সে আরও জানায় যে, যদি তাদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয় পুলিশ, তবে খুব ভালো হয়। পুলিশ তাঁদের মালপত্র বাইরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তারপর গাড়িতে করে নিয়েও যায়। তবে বিমানবন্দরে নয়, আইন মোতাবেক দুজনের জায়গা যেখানে হওয়া উচিত সেখানেই। একটি দোকানে দিনকয়েক আগে চুরি হয়েছিল। তার ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ এই ঘটনার পুরুষ অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পেরেছে। মহিলার নামেও একটি আবাসনে চুরির অভিযোগ আছে। অতএব, দুই চোরের আর পালানো হল না, থাকতে হল পুলিশের হেফাজতে। ফ্লোরিডার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসায় সাড়া পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অতি চালাকির ফল যে কী হতে পারে, তা বোধহয় এখন হাড়ে হাড়েই বুঝতে পারছে বাস্তবের এই বান্টি-বাবলি।