আপাতত স্থগিত অমিত শাহের বঙ্গ সফর। অনিশ্চয়তা নরেন্দ্র মোদির সভা ঘিরে। কাটছাঁট নাড্ডার সফরেও। পঞ্চায়েতের আগে চাপে বঙ্গ বিজেপি। অনুব্রতকে ‘রাজনৈতিক দৈত্য’ তকমা সিবিআই-এর। ডিএলএড কোর্সে ছাত্র ভরতিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ। বাকস্বাধীনতায় অতিরিক্ত বিধিনিষেধের দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনায় চাপানউতোর। ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব কুণাল। ক্রিকেটে কামব্যাক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রয়াত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:31 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘রেফার’ নিয়ে কড়া রাজ্য, হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের
আরও শুনুন: 30 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় যাত্রা শুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, একযোগে উদ্বোধন মোদি-মমতার
বিস্তারিত খবর:
১। আপাতত স্থগিত অমিত শাহের বঙ্গ-সফর। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১৭ জানুয়ারি বীরভূমের সিউড়িতে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আরামবাগেও সভা করার কথা ছিল তাঁর। এদিকে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট দিনে বঙ্গে শাহি সফর আপাতত স্থগিত বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি কাঁটছাট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার সফরেও। ১৯ তারিখ শিলিগুড়িতে সভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। সেই সভা ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আবার ৭ ও ৮ জানুয়ারি জেপি নাড্ডারও চণ্ডীতলায় সভা করার কথা ছিল। পাশাপাশি কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতেও দলের বৈঠক রয়েছে তাঁর। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের বৈঠকে যোগ দিলেও চণ্ডীতলার সভায় যাবেন না নাড্ডা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। সেই কারণেই বছরের শুরু থেকেই দলের শীর্ষ নেতাদের সফরসূচি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে একধাক্কায় ৩ হেভিওয়েট নেতার সভা বাতিল বা স্থগিত হওয়ায় চাপ বাড়ল বঙ্গ বিজেপির উপর। এদিকে বুথস্তরে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন এখনও বেহাল। এই পরিস্থিতিতে দলের সদস্য বাড়াতে ফের ফোন করে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি।
২। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজনৈতিক কারণেই কি জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল, প্রশ্ন বিচারপতির। এদিকে সিবিআই-এর দাবি, জেলে বসেই গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। অনুব্রতকে ‘পলিটিক্যাল জায়ান্ট’ বা ‘রাজনৈতিক দৈত্য’ বলে উল্লেখ করে ফের জামিনের বিরোধিতা করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। ইতিমধ্যেই এই মামলায় ১৪৫ দিন ধরে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের বেঞ্চে জামিন মামলার শুনানিতে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রশ্ন তোলেন, ‘এই মামলায় ৯৫ জনকে সাক্ষী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বাকিদের সাক্ষ্য কবে নেওয়া হবে?’ বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার-সহ অন্য অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে গেলেও অনুব্রত কেন জামিন পাচ্ছেন না, প্রশ্ন সিব্বলের। জবাবে প্রভাবশালী তত্ত্বের কথা বলেন সিবিআই-এর আইনজীবী। অন্য অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা না করলেও সিবিআই কেন অনুব্রতকে হেফাজতে রাখতে মরিয়া, সেই প্রশ্ন করেন বিচারপতিও। একইসঙ্গে শিবঠাকুর মণ্ডলের মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়া নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা করে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘‘কোনও এক নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য কি রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে? ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তো হেফাজতে নেওয়া উচিত নয়।” সওয়াল জবাব শেষে এদিন রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে এই মামলার রায়দানের সম্ভাবনা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।