হাসপাতালগুলির রেফারের প্রবণতা কমাতে কড়া রাজ্য। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশিকা স্বাস্থ্যভবনের। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে জারি বিতর্ক। বিধানসভায় বিল এনে বন্ধের পরামর্শ দিলীপের। ‘রামকে বিজেপি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ভাবা বন্ধ করুক’, পালটা কুণালের। বিশ্বের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিনের করোনা পরিস্থিতি। দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত প্রাক্তন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। ঋষভ পন্থের দুর্ঘটনায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর তত্ত্ব খারিজ পুলিশের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 30 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় যাত্রা শুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, একযোগে উদ্বোধন মোদি-মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. হাসপাতালগুলির রেফার করার প্রবণতা কমাতে এবার কঠোর পদক্ষেপ স্বাস্থ্যভবনের। কোন কোন রোগীদের রেফার করা যাবে, আর কোন ক্ষেত্রে করা যাবে না, তা নির্দিষ্ট করে এবার জেলা হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হল নির্দেশিকা। কিছুদিন আগে এই ‘রেফার রোগ’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নির্দেশিকা জারি করেই এই সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটল রাজ্য। নির্দেশিকায় মোট ৩৬২টি ক্যাটেগরি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলা হাসপাতালে ওই চিকিৎসাগুলি করতেই হবে। চিকিৎসা পরিকাঠামো থাকতে পারে আবার না-ও পারে। তবে পরিকাঠামো থাকলে কোনওভাবেই ফেরানো যাবে না। যদি একান্তই চিকিৎসা পরিষেবা না থাকে তবেই অন্য কোনও হাসপাতালে রেফার করা যাবে। এর আগে সমীক্ষায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি, মহকুমা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের সুপার, সিএমওএইচদের কড়া চিঠি দেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, হাসপাতালে আসা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করা আবশ্যিক। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও হাসপাতালে স্থানান্তর করা যাবে না। কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন রোগীর পরিজনেরা, তা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে। ওই হাসপাতালে আদৌ বেড এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো রয়েছে কিনা, তা আগে থেকে জেনে তবেই রেফার করা যাবে। যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকে, তবে ওই হাসপাতালে তাঁকে আর রেফার করা যাবে না। তারপরেও ‘রেফার রোগ’ না সারায় এবার নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যদপ্তর।
2. বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিতর্ক নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ক্রমশ চড়ছে। এই নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ, পালটা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ। এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরকারি অনুষ্ঠানে এই স্লোগানের পাশে দাঁড়ালেও তাঁর দলের অনেকেই এই আচরণকে সমর্থন করেননি। দলের একাংশের বক্তব্য, সরকারি অনুষ্ঠানের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে অপমানজনক মন্তব্য করে সরকারি অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক তকমা দিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। এদিকে, সরকারি অনুষ্ঠানে এই স্লোগান দেওয়া উচিত হয়নি বলে প্রকাশ্যেই বলেছেন বিজেপিরই সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। এই বিতর্ক আরও বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন , “আমাদের দেশে বন্দেমাতরম বলতে আইনি বাধা নেই। ‘জয় শ্রীরাম’ বলতেও বাধা নেই। উনি খেপে যাচ্ছেন কেন? আমাদের পিছনে তো রোজ জয় বাংলা বলছেন। আমরা কি খেপে যাই? যদি আপনার ‘জয় শ্রীরাম’ শুনতে আপত্তি থাকে, বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন। রোজ তো কিছু না কিছু বিল আনেন। বিল এনে পাশ করিয়ে রাজ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ নিষিদ্ধ করে দিন।” এদিন দিলীপের মন্তব্যের পালটা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিজেপি রামকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ভাবা বন্ধ করুক। সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়াকে ‘অসভ্যতা’ বলেই দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।