বাংলায় পথচলা শুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। একযোগে সূচনায় মোদি-মমতা। উদ্বোধনের সময় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিজেপির। প্রতিবাদে মঞ্চে উঠলেন না মমতা। ‘আমার সঙ্গে এক মঞ্চে বসতে চাননি’, কটাক্ষ শুভেন্দুর। প্রয়াত নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন। প্রয়াত ফুটবলসম্রাট পেলে। ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ঋষভ পন্থের গাড়ি। মাথায় গুরুতর আঘাত, চোট লিগামেন্টেও। চিকিৎসার মাঝে রোগীর মৃত্যু হলে পুরো টাকা নয়। ‘স্বাস্থ্য সাথী’ নিয়ে নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলায় পথচলা শুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। শুক্রবার ভারচুয়ালি রাজ্যের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে রেলের সবুজ পতাকা হাতে ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ বিজেপির একাধিক নেতা মন্ত্রীরা। মা হীরাবেনের মৃত্যুর কারণে এদিন কলকাতায় আসতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। সে কারণে ভারচুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের পঙ্ক্তির পাশাপাশি বন্দেমাতরমের উল্লেখও এদিন শোনা যায় মোদির মুখে। এদিকে নিজের বক্তৃতায় মোদিকে মাতৃবিয়োগের জন্য সান্ত্বনা জানিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা। এদিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়াও জোকা-তারাতলা মেট্রো প্রকল্প-সহ ডানকুনি-চন্দনপুর চতুর্থ লাইন, বৈচি-শক্তিগড় তৃতীয় লাইন, উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা-গুমনিহাট দ্বিতীয় রেললাইনের উদ্বোধন হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এর মধ্যে চারটি প্রকল্পের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ ও শিলান্যাসও হয়। জোকা-তারাতলা মেট্রোর জমির সংস্থান করার জন্য কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও এদিন ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা। ‘৫টার মধ্যে ৪টে প্রকল্পই আমার’, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সৌজন্য দেখিয়েও এ কথা মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুর বাঁধা হয়েছিল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সৌহার্দ্যের আবহে। এহেন হাইপ্রোফাইল অনুষ্ঠানেও অবশ্য পিছু ছাড়ল না রাজনৈতিক বিতর্ক। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ফের উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। বিজেপি নেতাদের এহেন অসৌজন্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মঞ্চে ওঠেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে আবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
‘বন্দে ভারত’-এর যাত্রা শুরুর আগেই হাওড়া স্টেশনে অতিথিদের জন্য তৈরি মঞ্চে বসে থাকা বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জোর গলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলেন। শুরু হয় হইহট্টগোল। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কিন্তু এই ঘটনার পর নীরব থাকলেও মঞ্চে উঠতে অস্বীকার করেন মমতা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত মঞ্চের পাশে থাকা দর্শকাসনেই বসেই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে বঙ্গবিজেপির দাবি, মমতা নন, মোদিকে উদ্দেশ্য করে আবেগের বশেই উঠেছে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে বসতে চাননি তৃণমূল নেত্রী, বলে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সুর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। পালটা শুভেন্দুকে ‘অসভ্য বানরসেনা’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এভাবে রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ আলুওয়ালিয়াও। সব মিলিয়ে স্লোগান বিতর্কের জেরে ফের উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।