আর চিরাচরিত ইতিহাস নয়, এবার থেকে সংশোধিত নয়া ইতিহাস পড়বে পড়ুয়ারা। হ্যাঁ, আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকেই স্কুলের পাঠ্যক্রমে বদলে যাচ্ছে দেশের ইতিহাস। ঘোষণা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আর আগের ইতিহাস নয়। দেশের সেই প্রচলিত ইতিহাসকে সংশোধন করার পালা এসেছে এবার। আর সেই সংশোধিত ইতিহাসই পড়ানো হবে স্কুলের পড়ুয়াদের। সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকেই স্কুলের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী ওই নয়া ইতিহাস পড়বে পড়ুয়ারা, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী?
আরও শুনুন: ডিজে আর নাচ-গান ইসলামী সংস্কৃতি নয়, বিয়ে না দেওয়ার বার্তা মৌলবিদের
সম্প্রতি আরএসএস অনুমোদিত অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনা এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চের যৌথ উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই এই ঘোষণা করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে এবার থেকে দেশের সংশোধিত ইতিহাস পড়ানো হবে স্কুলপড়ুয়াদের। আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি, অর্থাৎ বসন্তপঞ্চমীর দিনেই এই নয়া পাঠ্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই অনুযায়ী পাঠ্য বইও ছাপা হচ্ছে নতুনভাবে। এই বিষয়ে গঠিত কমিটির মতে, দেশজুড়ে এমন অনেক স্বাধীনতাসংগ্রামীর হদিশ মেলে, সাধারণ মানুষের কাছে যাঁরা সেভাবে পরিচিত নন। স্বাধীনতা সংগ্রামের যে ইতিহাস পড়ানো হয়, সেখানে তাঁদের নাম থাকে না। আবার দেশের উন্নতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে একাধিক নারীর। তাঁদের কথাও অনেক সময় ইতিহাস থেকে বাদ পড়ে যায়। এই বিষয়গুলিকে সংশোধিত ইতিহাসে যোগ করার কথা বলেছে ওই কমিটি। পাশাপাশি বেদ এবং ভগবৎ গীতাকেও পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী শিক্ষা দপ্তর।
আরও শুনুন: বাইরে মুসলিম, ভিতরে হিন্দু! সাবানের ‘ধর্ম’ বিচার ঘিরে বিস্মিত নেটিজেনরা
নতুন ইতিহাস সংবলিত বইগুলি বিশ্বে ভারতের তাৎপর্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে, এমনটাই মনে করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর দাবি, জি-২০ সভাপতি হওয়ার সুবাদে এ দেশ বিশ্বের দরবারে নিজের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার বড় সুযোগ পেয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই দেশের প্রাচীন ইতিহাসকে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে উপস্থাপন করা উচিত, সাফ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।