আমাদের দেশে এমন কিছু পবিত্র জলাশয় রয়েছে যেখানে একবার ডুব দিলেই নাকি পুণ্য হয়। কিন্তু প্রবল ঠান্ডায় এমন কাজ করতে সাহস করেন না অনেকেই। সেই কারণে পকেটের জোর থাকলেও অনেকেই পুণ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হন। সেই সমস্যার সমাধান হিসেবেই এবার বিকল্প পথের ঘোষণা করেছেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, ১০ টাকার বিনিময়ে যে কারও নামে ডুব দিয়ে তাঁর পুণ্য অর্জনের ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। আসুন শুনে নিই।
কষ্ট করলে তবেই মিলবে কেষ্ট! প্রচলিত এই ধারণা এখন অতীত। ডিজিটাল যুগে ভাড়ায় মিলছে ভগবানের আশীর্বাদও! পয়সা দিলেই এখন ভগবানের কৃপাধন্য হতে পারবেন যে কেউ। তবে এক্ষেত্রে মন্দিরে দক্ষিণা দেওয়ার কথা হচ্ছে না। পয়সার বিনিময়ে অন্য একজনের হয়ে ভগবানের সামনে কষ্ট করে কিছুটা পুণ্য অর্জনের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন এক ব্যক্তি।
আরও শুনুন: মাস্ক পরে খেতে অসুবিধা! পাখির ঠোঁটের মতো মাস্ক বানিয়ে নজর কাড়লেন ব্যক্তি
আসলে পুণ্য অর্জনের তো হাজার রকমের ফিকির। কেউ গরিব-দুঃখীকে দান করে পুণ্যলাভ করেন। কেউ আবার দণ্ডি কেটে কিংবা উপবাস করে পুণ্যবান হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ভগবানের কাছ থেকে পুণ্যলাভ করতে গেলে নাকি কষ্ট করাই একান্তভাবে কাম্য। তাই পৌষ সংক্রান্তির মতো শীতলতম দিনেও ঠান্ডা জলে শরীর ডোবাতে দুবার ভাবেন না ‘ভক্ত’-রা। তবু কিছু মানুষের এমন কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা থাকে না। ফলত সাধ্য থাকলেও পুণ্য উপার্জনে ব্যর্থই হতে হয় তাঁদের। তাঁদের কথা ভেবেই এবার কষ্টার্জিত পুণ্যলাভের পথ একেবারে মসৃণ করে দিতে চাইছেন এক ব্যক্তি। সম্প্রতি তাঁর অভিনব দাবির একটি ভিডিও বেশ সাড়া ফেলেছে নেটদুনিয়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, কোনও এক নদীর ধারে খালি গায়ে বসে তিনি জোর গলায় বলছেন, “আপনার নামে পুণ্য-ডুব দিয়ে দেব, মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে।” জানা গিয়েছে সেই নদীতে ডুব দিলেই নাকি পুণ্যলাভ হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা জল এবং নদীর প্রচণ্ড স্রোতের ভয়ে সেই কাজ করতে পিছিয়ে আসেন অনেকেই। তাঁদের উদ্দেশেই এই ব্যক্তি এমন অদ্ভুত ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন।
আরও শুনুন: ৩৫ বছর করেছেন দেশমাতৃকার সেবা, অবসরের আগে মা-কে স্যালুট সেনা আধিকারিকের
এমন ঘটনার ভিডিও প্রকাশ পেতেই বেশ অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। সেখানে অনেকেই ব্যঙ্গের ভঙ্গিতে বলেছেন এটি নাকি রোজগারের এক নতুন বিকল্প। পাশাপাশি ‘ভাড়ায় পুণ্য’ পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও বিদ্রূপ করেছেন অনেকেই। তবে কিছু মানুষের মন্তব্য, কোনও কাজই ছোট নয়, এই ব্যক্তি সৎ পথে যা করছেন তাতে কোনও ভুল নেই। তাই এঁকে নিয়ে অযথা ব্যঙ্গ করতে নিষেধ করেছেন কিছু নেটনাগরিক।
नया रोज़गार 😁 pic.twitter.com/c3QpRb4BQh
— आशुतोष शुक्ल (@ashutoshvshukla) December 23, 2022