বছরশেষে ভারতীয়দের জন্য সুসংবাদ। বিশ্বের দরবারে জয়জয়কার ভারতীয় খানার। সম্প্রতি পৃথিবীর সেরা খাবারের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে ভারতের জায়গা কোথায় হল? আসুন শুনে নিই।
ভারতীয় খাবারের স্বাদ-গন্ধে বুঁদ বিশ্বের খাদ্যরসিকরা। ভারতবর্ষ আয়তনে যেমন বড়, তেমনই বৈচিত্রেও ভরা। জনজীবন, সংস্কৃতির বৈচিত্র বদলে দিয়েছে ভারতীয় খাবারের রূপ-রস-গন্ধ। মানচিত্রের বিচারে প্রদেশ বদলেছে, আর বদলে গিয়েছে খাবারের উপকরণ। ফলে বহু ধরনের খাবার ঢুকে পড়েছে ভারতীয় খাদ্য সংস্কৃতিতে। কখনও আবার বিদেশি খাবারকে নিজস্ব কায়দায় আপন করে নিয়েছেন ভারতীয়রা। ফলত জন্ম নিয়েছে নতুন নতুন খাবার। আর সবার উপরে আছে মশলার ব্যবহার। যা ভারতীয় খানাকে দিয়েছে নিজস্বতা। তা এই খাবারের স্থান বিশ্বের দরবারে ঠিক কোথায়? দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর সেরা খাবারের চূড়ান্ত তালিকায় পঞ্চম স্থানে উজ্জ্বল ভারতীয় খানা।
আরও শুনুন: অসুস্থ সন্তানের খাবার কিনতে চেয়েছিলেন ৫০০ টাকা, ৫১ লক্ষ হাতে এল মহিলার
সম্প্রতি ২০২২-এর সেরা খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘টেস্ট অ্যাটলাস'(Taste Atlas)। তালিকায় প্রথম স্থানে আছে ইতালির খাবার। দ্বিতীয় তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে গ্রিস এবং স্পেন। চতুর্থ স্থান নিয়েছে জাপানের খাবার। আর পঞ্চম স্থানটি দখল করে নিয়েছে ভারত। মোট ৯৫টি দেশের খাবারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যার প্রথম সারিতেই জায়গা হয়েছে ভারতীয় খানার। পয়েন্টের নিরিখে ভারতীয় খাবারের সংগ্রহ ৪.৫৪। একেবারে প্রথম স্থানে থাকা ইতালির খাবার পেয়েছে ৪.৭২। চতুর্থ স্থানে থাকা জাপানের খাবারের সঙ্গে ভারতীয় খাবারের পয়েন্টের পার্থক্য মাত্র ০.০৫। খাবারের উপকরণ, স্বাদ, বৈচিত্রের উপর ভিত্তি করেই বিশ্বের খাদ্যরসিকদের ভোট দিতে বলা হয়েছিল। সেই নিরিখেই ভারতীয় খাবারের জয়জকার। Taste Atlas Awards 2022-এর মতে ভারতীয় খাবারের মধ্যে সেরার তকমা যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তারা হল, গরম মশলা, ঘি, মালাই, বাটার গার্লিক নান, কিমা ইত্যাদি। আর ভারতীয় রেস্তরাঁগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে দিল্লি, মিম্বই, বেঙ্গালুরুর কয়েকটি রেস্তরাঁ।
আরও শুনুন: আইফোন কিনতে দেড় লক্ষ টাকার কয়েন নিয়ে হাজির যুবক, চক্ষু চড়কগাছ দোকানির
তবে এই তালিকা নিয়ে নেটিজেনরা একটু ধন্ধেও পড়েছেন। কেননা গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় যে চাইনিজ, তা কিনা জায়গা পেয়েছে ১১তম স্থানে। আবার থাই খাবারেরও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, অথচ তার জায়গা হয়েছে ৩০তম স্থানে। তবে অন্য খাবার নিয়ে যা সংশয় থাকুক না কেন, ভারতীয় খাবার যে তার বৈচিত্রে, বিশেষত মশলার গুণে বাজিমাত করেছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। খাদ্য-সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র আসলে একটা সমাজের জনজীবনের বৈচিত্রকেই তুলে ধরে। সেই নিরিখে বিশ্বের দরবারে ভারতীয় খাবারের জায়গা করে নেওয়া আসলে যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্রেরই উদযাপন, তা বলাই যায়।