পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নবান্নে মুখোমুখি শাহ-মমতা। বিএসএফের তরফে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা হবে না। নিরাপত্তা বৈঠকে মমতাকে আশ্বাস অমিত শাহ-র। ঠিকাদারি করলে তৃণমূলের টকিট নয়। পঞ্চায়েতের আগে রানাঘাটের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি অভিষেকের। কাজ না করায় ইস্তফার নির্দেশ পঞ্চায়েত প্রধানকে। মতুয়া গড়ে CAA নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তোপ। ‘সঠিক সময় এসে গিয়েছে’ বক্তার নাম না নিয়েই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বিরোধী দলনেতার। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা বিলকিস বানোর। ধর্ষকদের আগাম মুক্তির বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
১। দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক সারতে নবান্নে যান তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কিন্তু ওড়িশা এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে এদিনের বৈঠকে মূলত রেলের জমি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, পূর্বাঞ্চলের ৫ রাজ্যের সঙ্গে নিরাপত্তা বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা, অনুপ্রবেশ নিয়ে দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক সেরেছেন অমিত শাহ। সেখানে রেলের বহু জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে বলেই দাবি করেন সংশ্লিষ্ট বোর্ডের সদস্য ব্রিজেশ কুমার। সেই প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে সাফ জানিয়ে দেন, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ সম্ভব নয়। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবান্নের ১৪ তলায় তাঁর নিজের ঘরে যান। সেখানেই প্রায় ১৬ মিনিট ধরে একান্তে কথা বলেন মমতা-অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, তাঁর হাতে একটি চিঠি তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন আর কোন কোন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে দু’জনের মধ্যে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই তাঁদের এই একান্ত বৈঠক নিয়ে নানান সমালোচনাও শুরু করেছেন। তবে বিষয়টিকে অযথা ‘রাজনৈতিক’ রং দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
২। শনিবার নবান্নে আয়োজিত পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে, ৪ প্রতিবেশী রাজ্যের সামনে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি হিসেব দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, কেন্দ্রের কাছে বাংলার কত বকেয়া রয়েছে এবং তা পেতে বাংলাকে কত সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তবে সবটাই হয়েছে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনে দুর্যোগ মোকাবিলা এবং ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে স্বতন্ত্র কমিটি গড়ার আশ্বাস দেন। সম্প্রতি সীমান্ত রাজ্যগুলিতে বিএসএফের কাজের এলাকা বাড়িয়ে ৩৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার হয়েছে। তা নিয়ে আপত্তি ছিল অনেকের। এদিনের বৈঠকে বিএসএফের ডিজি পঙ্কজ কুমার সিং দাবি করেন, সীমান্ত চেক পোস্ট ও ফেন্সিংয়ের জন্য জমি দরকার। প্রতি চেক পোস্টের জন্য ২০ একর জমি লাগবে বলে তিনি জানান। সূত্রের খবর, তাতে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, “আমরা তো ৫ একর জমিতে মেডিক্যাল কলেজ বানিয়ে ফেলি। আর চেক পোস্ট পিছু ২০ একর জমি লাগবে? আমরা ১০ একর জমি দিতে পারব।” এদিনের বৈঠকে সরাসরি সেই এক্তিয়ার বৃদ্ধির প্রসঙ্গ না উঠলেও বাংলার তরফে অভিযোগ তোলা হয়, বিএসএফ কাজের ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করছে। তাতে অমিত শাহ সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফে পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে বলেন, পুলিশ-বিএসএফকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। তাঁর মতে, কেন্দ্র-রাজ্য যথাযথ সমন্বয় রেখে সীমান্ত পাহারা দিতে হবে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।