সংসারের অভাব অনটনের আঁচ টের পেয়েছে বাড়ির খুদে সদস্যটিও। আর সেই সমস্যা সমাধান করতে নিজেই এগিয়ে এসেছে সে। মা-বাবার কষ্ট লাঘব করতে খোদ সান্তাক্লজকেই চিঠি লিখল ৮ বছরের ছোট্ট মেয়েটি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ক্রিসমাসের উপহার হিসেবে খোদ সান্তাক্লজের কাছেই টাকা চেয়েছে ছোট্ট মেয়েটি, যাতে মা-বাবার কষ্ট লাঘব করা যায়। আর সান্তাকে লেখা তার সেই চিঠিই ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। ছোট্ট মেয়েটির সহমর্মিতা আর দায়িত্ববোধ দেখে আবেগে ভেসে গিয়েছেন নেটিজেনরা।
আরও শুনুন: বাবা অকালে প্রয়াত, ২৫ বছর পর মায়ের ফের বিয়ে দিলেন তরুণী
কী ঘটেছে ঠিক? আসছি সে কথাতেই।
সান্তা ক্লজের কাছে বড়দিনে সে কী উপহার চায়, তা-ই জানিয়েছে ৮ বছর বয়সের ছোট্ট মেয়েটি। সে লিখেছে, “সান্তা, বড়দিনে আমি আর কিছু চাই না, কেবল মা-বাবার জন্য কিছু টাকা চাই। খরচখরচা, লোনের কিস্তি, সব নিয়ে ওরা হিমশিম খাচ্ছে। আমার ওদের জন্য খুব কষ্ট হয়। দুঃখিত, আমি জানি অনেক বেশি চেয়ে ফেলছি, কিন্তু তুমি কি কিছু করতে পারো?” চিঠিতে দুঃখের ইমোজিও এঁকে দিয়েছে মেয়েটি।
আরও শুনুন: শিঙাড়া খাওয়াও ধর্মবিরুদ্ধ! কোন দেশে চালু আছে এই নিয়ম?
বিশ্বজোড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সাধারণ মানুষের অবস্থা যে কমবেশি টলোমলো, সে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বর্তমানে খুব বেশি আলাদা নয়। এই খুদে সে দেশেরই বাসিন্দা। বয়স যতই কম হোক, পরিবারের আর্থিক অনটনের আঁচ পড়েছে তার উপরেও। সংসার চালাতে তার মা-বাবাকে যে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে, তা বুঝতে ভুল হয়নি ছোট্ট মেয়েটির। এই অবস্থায় হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেনি সে। নিজেই উদ্যোগ নিয়েছে এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য। আর তাই বড়দিনের আগে আগেই খোদ সান্তা ক্লজকে চিঠি লিখে ফেলেছে ওই খুদে। ঘটনাচক্রে ওই চিঠিটি তার মায়ের হাতে পড়ে। আর সেখান থেকেই চিঠিটি নেটদুনিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন তার মাসি। খুদের কাতর আর্জি দেখে আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনরাও। অল্প বয়সেই তার এহেন দায়িত্ববোধ দেখে মুগ্ধতা জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি এহেন সামাজিক অবস্থার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁদের একাংশ। শৈশবে যখন সবকিছুই সহজ থাকার কথা, সেখানে এই ছোট্ট মেয়েটিকে এহেন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। আর সেই ঘটনাটিকেই অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মত প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।