সঙ্গী প্রতারণা করছে বলে সন্দেহ হয়? কিন্তু বুঝবেন কী করে? উপায় বাতলে দিতে পারেন এই লাস্যময়ী গোয়েন্দা। নিজের শরীরী আবেদনের জাল ছড়িয়েই ওই অবিশ্বস্ত পুরুষদের হাতেনাতে পাকড়াও করেন এই যুবতী। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ইঁদুরের মতোই গর্ত খুঁড়ে অন্যের প্রেমের মধ্যে ঢুকে পড়েন তিনি। আর এটাই তাঁর গোয়েন্দাগিরির অস্ত্র। এভাবেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন, কারও সঙ্গী তাঁর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন কি না। হ্যাঁ, এমনটাই জানিয়েছেন এক লাস্যময়ী মেয়ে গোয়েন্দা। কোনও মহিলার সঙ্গী তাঁর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন কি না, তা-ই খুঁজে বের করেন এই গোয়েন্দা। আর সে কাজে নিজের যৌন আবেদনকেই কাজ লাগান ম্যাডেলিন স্মিথ নামের এই যুবতী।
আরও শুনুন: হাতে বন্দুক পরনে বিকিনি, মডেলের মতো ছবি তুলে বিপাকে মহিলা পুলিশকর্মী
কেমন করে? তাহলে খুলেই বলা যাক।
পুরনো দিনের একটি টিভি শো দেখেই এই ফন্দি মাথায় এসেছিল তাঁর, এমনটাই জানিয়েছেন বছর ৩০ বয়সের ওই ডিটেকটিভ। কার্যত গোয়েন্দাগিরি করলেও, সম্পর্কের রহস্য অনুসন্ধানেই তাঁর গোয়েন্দাগিরির সীমানা শেষ। কোনও মহিলার সঙ্গী তাঁকে প্রতারণা করে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছেন কি না, তা বুঝে নিতে চাইলে এই লাস্যময়ী গোয়েন্দাকে নিয়োগ করা যেতেই পারে। আর এই কাজের সুবাদেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় লাখ খানেক অনুরাগী জুটে গিয়েছে তাঁর।
ঠিক কীভাবে অবিশ্বস্ত পুরুষদের পাকড়াও করেন এই যুবতী? সোজা কথায়, হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে। অর্থাৎ কিনা, প্রেমের জালে জড়িয়ে। তাঁর কাছে যেসব কেস আসে, সেইসব পুরুষকে যেচেই মেসেজ করেন তিনি। তাঁরা পালটা উত্তর দিলে কথা এগোয়। যুবতীর দাবি, কারও ছবি দেখলেই নাকি তার চরিত্রের একটা আঁচ পেয়ে যান তিনি। আর সেই বুঝেই কথা চালান তিনি। কথোপকথনের মাধ্যমেই বুঝে নেন, কার কথায় কী ইঙ্গিত রয়েছে। সেই বুঝে কারও কারও দিকে যৌন ইশারাও ছুঁড়ে দেন তিনি। এমনকি নিজের খোলামেলা ছবি পাঠাতেও তাঁর আপত্তি নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ফোনেই শারীরিক সম্পর্কের কথা চলে। আর এই সবকিছুই নিজের গোয়েন্দাগিরির স্বার্থেই করেন বলে দাবি ওই যুবতীর।
আরও শুনুন: ঘরে ২০ জন স্ত্রী, বিয়ে নিজের কিশোরী কন্যাকেই, বিকৃত যৌনতার দায়ে গ্রেপ্তার স্বঘোষিত ‘গুরু’
২০১৮ সালে এই লয়ালটি টেস্ট, অর্থাৎ বিশ্বস্ততার পরীক্ষা করার জন্য গোছানো ছক কষে নিয়েছিলেন তিনি। আর সেই ছক মোতাবেকই কাজ করে চলেছেন এই লাস্যময়ী গোয়েন্দা। ৫ মিনিট থেকে বড়োজোর দুদিনের মধ্যেই তাঁর এক-একটি কেসের সমাধান হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি। আর সেই কারণেই দিনে দিনে খ্যাতিও বেড়ে চলেছে গোয়েন্দা স্মিথের।