বিকেলের হালকা খাবার হিসেবে শিঙাড়ার জুড়ি মেলা ভার। ভারতের এমন কোনও রাজ্য নেই যেখানে এই খাবারটি পাওয়া যায় না। এমনকি বিদেশের মাটিতেও বর্তমানে খুব সহজেই পাওয়া যায় শিঙাড়া। কিন্তু এমন এক দেশ আছে যেখানে শিঙাড়া খাওয়া আইনত অপরাধ! কোথায় আছে এমন নিয়ম? আসুন, শুনে নিই।
এই দেশে শিঙাড়া আইনত নিষিদ্ধ! শুধুমাত্র বিক্রি করা নয়, এই দেশে শিঙাড়া খাওয়াই আইনত অপরাধ। শুনতে অবাক লাগলেও আফ্রিকার এক দেশে চালু রয়েছে এমনই অদ্ভুত নিয়ম। গত এক দশকের একটু বেশি সময় ধরে সে দেশের নাগরিকরা শিঙাড়া চেখে দেখেননি।
আরও শুনুন: জায়গার ফেরে বদলায় স্বাদ! কেন জয়নগরের মোয়াই বাঙালির একান্ত প্রিয়?
তরকারির পুর ভরা এক তেকোনা আকারের খাবার। আর তাতেই বাজিমাত! যে কোনও, বিশেষত সন্ধ্যের স্ন্যাকস হিসেবে শিঙাড়ার জুড়ি মেলা ভার। শোনা যায় মধ্য এশিয়া থেকে আসা আরব ব্যবসায়ীরা সর্বপ্রথম তাঁদের সঙ্গে শিঙাড়ার রেসিপি নিয়ে আসেন। দশম শতাব্দীতে লেখা বইগুলোতেই এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে শিঙাড়ার জন্ম নাকি মিশর দেশে। সেখানকার এক রাজাকে নতুন কিছু বানিয়ে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যেই এই খাবারের জন্ম হয়েছিল। রাজা নাকি আবদার করেছিলেন এমন এক খাবার বানাতে হবে, যার মধ্যে লুচি আর তরকারি একসঙ্গে থাকবে। বুদ্ধি করে তাঁর পাচক, ময়দার মোড়কে তরকারির পুর ভরে ত্রিকোণ আকৃতি করে তা ভেজে ফেলেন। সেই থেকেই জন্ম নেয় শিঙাড়া। তারপর থেকেই দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে এই বিশেষ খাবারটি। কিন্তু সবার কাছে এই খাবার অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও আফ্রিকার সোমালিয়াতে শিঙাড়া নিষিদ্ধ। সে দেশে কেউ শিঙাড়া বিক্রি করতে বা খেতে পারবেন না, এমনই নিয়ম। তবে এর নেপথ্যে লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত কারণ। জানা যায়, সোমালিয়ায় এমন নিয়ম প্রবর্তন করেছেন দেশের কিছু ইসলামী সংগঠন। কিন্তু কেন এই নিয়ম তাঁরা বানিয়েছিলেন প্রথমে সে কথা তাঁরা প্রকাশ করেননি। পরে ওই দেশের এক সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে এই নিয়মের নেপথ্যে থাকা আসল কারণ। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই সংগঠনগুলির মতে, শিঙাড়া নাকি নিতান্তই পাশ্চাত্যের খাবার। এমনকি শিঙাড়ার ত্রিকোণাকৃতির মধ্যে নাকি খ্রিস্টান ধর্মের এক বিশেষ চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়। তাই সোমালিয়াতে শিঙাড়া খাওয়া ধর্মবিরুদ্ধ। বলাই বাহুল্য গর এক দশকে এই দেশের কেউ হয়তো শিঙাড়া চেখেই দেখেননি কখনও।