তিনি নাকি নিহত। তাঁকে খুনের দায় নিয়েই ৭ বছর জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন এক আসামি। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, দিব্যি বেঁচেবর্তেই রয়েছেন ওই ‘মৃতা’ যুবতী। সিনেমাকেও বোধহয় হার মানায় এই ঘটনা। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কথায় বলে, গল্পের গরু নাকি গাছেও উঠতে পারে। কিন্তু সত্যি ঘটনা যে কখনও কখনও গল্পের চেয়েও বেশি অবিশ্বাস্য হয়ে যায়, তা বলাই বাহুল্য। আর সেইরকম এক অবিশ্বাস্য সত্য বলা যেতে পারে এই ঘটনাকে, যার কাছে হার মানবে সিনেমার চিত্রনাট্যও। সিনেমা-সিরিয়ালে তো হামেশাই দেখা যায় যে, মরা মানুষ বেঁচে উঠেছে কোনও এক অলৌকিক উপায়ে। কিন্তু বাস্তবে কি এমনটা সম্ভব? হ্যাঁ, ঠিক তেমনটাই ঘটেছে এখানে। যে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল, সাত-সাতটি বছর পরে ফিরে এসেছে সে-ই। কীভাবে? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: ‘ভিক্ষা’ করতেন আম্বেদকর? মন্ত্রীর বক্তব্যের জেরে বিক্ষোভ, মুখে ছেটানো হল কালিও
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে নিখোঁজ হয়েছিল আলিগড়ের বাসিন্দা এক নাবালিকা। সে বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ তারিখে এই ইস্যুতে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান তার বাবা। তিনি জানিয়েছিলেন, একটি মন্দিরে গিয়েছিল মেয়েটি। আর তারপর থেকেই কোনও খোঁজ মেলেনি ১৭ বছরের ওই নাবালিকার। কিছুদিন বাদে একটি মৃতদেহ আবিষ্কার করে পুলিশ। সন্দেহ করা হয়, সেটি ওই মেয়েটিরই দেহ। তদন্ত চালিয়ে বিষ্ণু নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করে তারা। পুলিশের দাবি ছিল, ওই ব্যক্তিই মেয়েটিকে খুন করেছে। বিচারে কারাদণ্ড হয় তার। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত জেলেই রয়েছে ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কোনও ধর্মগুরু ‘পরমাত্মা’ নন, অনুকূলচন্দ্রকে নিয়ে আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতের
এদিকে এতদিন পর আকস্মিকভাবেই জানা গিয়েছে যে মেয়েটি আসলে বেঁচেই আছে। শুধু তাই নয়, সে বিবাহিতা এবং তার দুটি সন্তানও রয়েছে। আসলে সে অপহৃতা হয়নি কিংবা খুনও হয়নি, স্রেফ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিল। আর এই তথ্য খুঁজে বের করেছেন ওই কারাবন্দির মা। নিজের ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য প্রায় গোয়েন্দাগিরি চালিয়েছেন তিনি। আর তাতেই উঠে এসেছে আসল তথ্য। যা শুনে হতবাক সকলেই। এবার অন্তত ওই নিরপরাধ ব্যক্তি মুক্তি পান, এই আশাতেই বুক বাঁধছেন তার মা।