জলপাইগুড়িতে গাড়ির টায়ার থেকে উদ্ধার নগদ ৯৪ লক্ষ টাকা। ‘হাওয়ালায় টাকা আনছিল বিজেপি’, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর SSKM-এ। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে এবার রাতেও থাকবেন ফ্যাকাল্টি চিকিৎসক। ডিএ মামলায় রাজ্য-সহ সব পক্ষের হলফনামা তলব করে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের। জোর করে ধর্মান্তরিত করা অসাংবিধানিক। কড়া মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘অধিকারী গড়’ নস্যাৎ করে ‘বেইমান’ মুক্ত মেদিনীপুরের ডাক অভিষেকের
বিস্তারিত খবর:
1. জলপাইগুড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধারে চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি গাড়ির অতিরিক্ত টায়ারের মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বানারহাট থানার অন্তর্গত তেলিপাড়া থেকে ৯৪টি টাকার বান্ডিল উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িতে থাকা ৫ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। যদিও টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে তারা। এদিকে রাজ্যে এই বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “হাওয়ালার টাকা। বিজেপি রাজ্যে আনছিল। মানি, গুনস অ্যান্ড গানস ফর বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় টাকা পাচার করা হচ্ছিল।” যদিও এ বিষয়টিকে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পালটা জবাবে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে টাকা রাখার জায়গা নেই। তাই গাড়ি করে নিয়ে ঘুরছেন।’ তবে গাড়ির অতিরিক্ত টায়ার থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসা কয়লার টাকা হতে পারে বলেই মনে করছেন জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো।
2. রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে SSKM হাসপাতালে ভাঙচুর এবং জুনিয়র ডাক্তারদের হেনস্তার ঘটনায় হস্তক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর পরামর্শ মেনে এবার রাতেও থাকবেন ফ্যাকাল্টি চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয় মহম্মদ ইরফান নামে এক যুবককে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় যুবকের। এরপর চিকিৎসকরা যুবকের ময়নাতদন্ত করার কথা বললে আপত্তি জানায় মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন। তা নিয়ে হাসপাতালে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যুবকের পরিবারের বচসা বাধে। মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতাল চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। দুই জুনিয়র চিকিৎসককে মারধরও করা হয়। ঘটনার কথা জানতে পেরে দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অল্পবয়সি যুবকের মৃত্যু হলে সকলের খারাপ লাগে। তবে এসএসকেএম ট্রমা সেন্টারে নাইট ডিউটিতে থাকা দু’জন জুনিয়ার চিকিৎসকদের মারধর করা দুর্ভাগ্যজনক। রাতে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। রাতে সিনিয়র ডাক্তারদের থাকা উচিত। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।” তাঁর এহেন মন্তব্যের পরই বড়সড় পদক্ষেপ করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, সিনিয়র ডাক্তার রাতে থাকেন। কিন্তু এবার থেকে থাকবেন একজন ফ্যাকাল্টি অর্থাৎ শিক্ষক চিকিৎসকও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।