গোবর থেকে ঘুঁটে নয়, তৈরি হচ্ছে গয়না। এমনই অভিনব আবিষ্কারে তাক লাগালেন এক কৃষক। শুধু গয়নাই নয়, গোবর দিয়ে আরও অনেক শৌখিন জিনিসই অনায়াসে বানিয়ে চলেছেন তিনি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দামি দামি ধাতুর তৈরি গয়না তো অনেক দেখেছেন। কাঠ, মাটি, পাথর দিয়ে যে অন্যরকম গয়না তৈরি হয়, সে কথাও আর অজানা নয়। সেই তালিকায় এবার ঢুকে পড়ল গোবর দিয়ে তৈরি গয়নাও। আর এই অন্যরকম গয়না বানিয়ে তাক লাগালেন এক কৃষক। এহেন একটি বর্জ্য পদার্থকে কীভাবে ফের ব্যবহার করা যায়, তারই অন্যরকম এক দিশা দেখালেন তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের ওই বাসিন্দা।
আরও শুনুন: প্রভু যিশুর আদেশ! আকাশপথেই বিমানের দরজা খুলতে মরিয়া মহিলা
আসলে বরাবরই ছকভাঙা কাজে আগ্রহী পি গণেশন নামের ওই ব্যক্তি। কৃষিকাজের ক্ষেত্রেও, আর পাঁচজনের মতো প্রচলিত পদ্ধতি অবলম্বন না করে জৈব চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সূত্রেই পরিবেশবান্ধব সার হিসেবে গোবর জোগাড় করতেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, যতটা প্রয়োজন, তার থেকে অনেক বেশি গোবর জমে উঠছিল তাঁর কাছে। কিন্তু তা ফেলে দিতে রাজি ছিলেন না গণেশন। জৈব চাষে যেমন বর্জ্য পদার্থকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তেমনই ওই অতিরিক্ত গোবরকে বিকল্প কাজে লাগানোর জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু করেন তিনি। আর এইভাবেই গোবর দিয়ে গণেশের মূর্তি তৈরি করে ফেলেন তিনি।
আরও শুনুন: স্তনদুগ্ধ থেকে তৈরি গয়না! ট্যাবু ভেঙে তাক লাগালেন দম্পতি
সেই থেকেই শুরু। বর্তমানে প্রায় দেড়শো রকম জিনিস বানান ওই ব্যক্তি। তাঁর দাবি, এই সবকিছুরই কাঁচামাল কেবলমাত্র গোবর ও গোমূত্র। দেবদেবীর মূর্তি, গয়নাগাঁটি, ঘর সাজানোর নানারকম শৌখিন জিনিস, মশলা রাখার পাত্র- তাঁর বানানো জিনিসের তালিকায় কী নেই! এর মধ্যে তাঁর সেরা কাজ বলতে ৬ ফুটের বৌদ্ধমূর্তিটির কথা বলেছেন গণেশন, যা তৈরি করতে ৩০ কেজি গোবর ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
প্রথমে শখের বশে শুরু করলেও এখন বাণিজ্যিক ভাবেই এগুলি বিক্রি করছেন তিনি। তবে প্রতিটি জিনিসই নিজের হাতে বানান বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কোনও যন্ত্রপাতি বা ছাঁচ ব্যবহার করেন না তিনি। তাঁর তৈরি করা সমস্ত পণ্যই ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক এবং পরিবেশবান্ধব, এমনটাই দাবি গণেশনের। সেগুলি ১০ বছরেও নষ্ট হবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে নিছক ব্যবসা নয়, এই কাজকে শিল্প হিসেবেই দেখতে চান পি গণেশন।