‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি শীর্ষ আদালতের। জেলাশাসকদের ফের প্রকল্প শুরুর নির্দেশ। ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। বিশ্বাসঘাতকতার পালটা অভিযোগ পর্ষদ সভাপতির। ডিসেম্বরে নবান্নে মুখোমুখি মমতা-অমিত শাহ। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট। ফের জামিন খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. দুয়ারে রেশন প্রকল্পে সুপ্রিম রায়ে স্বস্তিতে রাজ্য। কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু রাখারই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টের এই স্থগিতাদেশের পরই জেলাশাসকদের কাছে ‘দুয়ারে রেশন’ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ পাঠায় নবান্ন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতির ফল স্বরূপ ২০২১ সালের নভেম্বরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চালু হয় দুয়ারে রেশন প্রকল্প। কিন্তু প্রকল্পটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে রেশন ডিলারদের একাংশ। শুনানি শেষে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, জনতার পরিষেবার মতো বৃহত্তর স্বার্থের কথা বলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য প্রশাসন। এই মামলায় সোমবার হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে, স্থিতাবস্থার কথা বলল শীর্ষ আদালত। সপ্তাহখানেক আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যে কোনও মূল্যে রাজ্যে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চলবেই। কারও আপত্তির কাছে মাথা নোয়াবে না সরকার। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে খুলল প্রকল্প চালু রাখার পথ।
2. ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় বলে দাবি ওঠে। সোমবার ছিল এডুকেশনাল স্টাডিজের পরীক্ষা। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল অন্য সেন্টারে। ছিল কড়া নিরাপত্তাও। তবু এদিন পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি পোস্ট করা হয়।পরীক্ষা শেষের পর দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে পরীক্ষার প্রশ্ন। যা ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানান, “১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। ১১টার মধ্যে সকল পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে ঢুকে পড়েছিলেন। ফলে সামান্য় কিছু সময়ের মধ্যে সকল পরীক্ষার্থী সেই প্রশ্নপত্র দেখে পরীক্ষা দিয়েছেন, এটা মানি না।” তাঁর আক্ষেপ, “দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। যারা প্রশ্ন তৈরি করছে গোপনীয়তা তাঁদেরও দায়িত্ব। এটা প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়, পর্ষদের-সরকারের সম্মানহানির চেষ্টা।” পাশাপাশি তিনি জানান, পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ জানালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এ ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই আশ্বাস পর্ষদ সভাপতির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর