চুমুর জোরেই বিশ্বজয়, থুড়ি বিশ্বরেকর্ড। হ্যাঁ, ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড গড়েই গিনেস বুকের পাতায় নাম তুলেছেন এক দম্পতি। কীভাবে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
গোয়েন্দা শবরের এক কাহিনিতে নায়ক নায়িকাকে পৃথিবীর দীর্ঘতম চুম্বনটি উপহার দিতে চেয়েছিল। তা গল্প উপন্যাসে তো কথার পিঠে কথার খেলা চলেই। কিন্তু গল্পকথায় নয়, বাস্তবেই দীর্ঘতম চুম্বনটি সেরে ফেলেছেন এই দম্পতি। আর সেই চুম্বনের দৌলতেই খোদ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পাতাতেও নাম তুলে ফেলেছেন তাঁরা। কীভাবে? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: সঙ্গিনীর সঙ্গে সঙ্গমের উত্তেজনায় মৃত্যু বৃদ্ধের, দেহ লোপাটে সহায়তা খোদ মহিলার স্বামীর
আসলে নেহাত শখে নয়, এক প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েই এই দীর্ঘ চুম্বনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন দম্পতি। রিপ্লে’র বিলিভ ইট অর নট-এর কথা তো সকলেই জানে। পৃথিবীর সমস্তরকম ঘটনা, যা আপাতদৃষ্টিতে একেবারেই অবিশ্বাস্য, প্রায় গল্পের মতো, সেইসব ঘটনাকেই সবার সামনে তুলে আনে এই সংস্থা। পাটায়াতে রয়েছে এই সংস্থারই একটি কার্যালয়, যা পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন আশ্চর্য গেম শো-র আয়োজন করে থাকে। ২০১৩ সালে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে এই সংস্থার তরফেই একটি চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রতিযোগীদের বলা হয়েছিল, যে যুগল সবচেয়ে বেশি সময় ধরে একে অপরকে চুম্বন করবেন, প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর শিরোপা উঠবে তাঁদেরই মাথায়। এই পুরো সময়টাই দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। চুম্বন চলাকালীন তাঁরা স্ট্র ব্যবহার করে তরলজাতীয় খাবার খেতে পারবেন, এমনকি শৌচাগারেও যেতে পারবেন প্রয়োজনে, তবে ঠোঁট থেকে ঠোঁট আলাদা হওয়া চলবে না। তা হলেই প্রতিযোগিতা থেকে বিদায়। দু’দিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় শেষমেশ পুরস্কার ছিনিয়ে নেন থাইল্যান্ডের এক দম্পতি, একইসঙ্গে পৃথিবীর দীর্ঘতম চুম্বনের যে রেকর্ডটি আগে ছিল তাও ভেঙে দেন তাঁরা।
আরও শুনুন: স্বল্পবসনাদের অবাধ বিচরণ এই দ্বীপে, কিন্তু পুরুষের প্রবেশ নিষেধ… কেন?
এক্কাচাই তিরানারাত এবং লাক্সানা তিরানারাত-এর করা ওই চুম্বন দু’দিন পেরিয়েও চলেছিল। অন্যান্য প্রতিযোগীরা ততক্ষণে কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন, কেউ প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু এঁরা দুজন ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ধরে চুম্বন চালিয়ে যান। এর আগে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুম্বনের রেকর্ড ছিল ৮ ঘণ্টার। বলাই বাহুল্য, সেই রেকর্ড একেবারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন এই দম্পতি। প্রতিযোগিতার শেষে একজোড়া হিরের আংটি এবং স্থানীয় মুদ্রায় এক লক্ষ টাকা পুরস্কার পান ওই দম্পতি। তবে বিশ্বরেকর্ডের পাতায় নিজেদের নাম তুলে ফেলা যে এর চেয়েও বড় পুরস্কার, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!