বৃদ্ধের পায়ুতে আটকে আস্ত একখানা বিয়ারের বোতল। তড়িঘড়ি সার্জারির আয়োজন করতে ব্যস্ত চিকিৎসকরা। কিন্তু বিয়ারের বোতল এভাবে আটকাল কী করে? প্রশ্ন করতে যা জবাব পেলেন তাঁরা, তাতে সকলেই হতবাক। কী জবাব ছিল বৃদ্ধের? আসুন শুনে নিই।
এমার্জেন্সি অপারেশনের আয়োজন চলছিল। যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ। এক্স-রে রিপোর্ট দেখাচ্ছিল, বৃদ্ধের পায়ুতে আটকে আছে একখানা বিয়ারের বোতল। ফলত দ্রুত অপারেশনের ব্যবস্থা করতেই হবে। পায়ুতে কোনও জিনিস আটকে থাকা আর অপারেশন করে তা বের করা, চিকিৎসকদের কাছে নতুন কিছু নয়। বহু ক্ষেত্রেই এরকম ঘটনার সম্মুখীন হন তাঁরা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বেকায়দায় এরকম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন আক্রান্ত। অবশ্য এই বৃদ্ধের কাছে যে ঘটনা তাঁরা শুনলেন, তা প্রায় অবিশ্বাস্য।
আরও শুনুন: স্বাভাবিক শরীর অথচ প্রায় ২ ইঞ্চি লেজ নিয়েই জন্ম শিশুকন্যার, অবাক খোদ চিকিৎসকরাই
ঘটনা ভেনেজুয়েলার। কীভাবে পায়ুতে বিয়ারের বোতল আটকাল তার খোঁজ নিচ্ছিলেন চিকিৎসকরা। জবাবে ৭৯ বছরের বৃদ্ধ জানাচ্ছেন, এর নেপথ্যে আছে চোরেদের হাত। আক্ষরিক অর্থেই চোরেদের হাতেই তাঁর এই দুরবস্থা। চোরেরাই তাঁকে যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য এই কাজ করেছে। তিনি কিছু করেননি। চিকিৎসকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, জনা তিনেক চোর দরজা ভেঙে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। দামি জিনিসপত্র হাতানোই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু ঘটনাচক্রে বৃদ্ধের ঘরে সেরকম কোনও জিনিসই ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও কিছু না পেয়ে শেষমেশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চোরেরা। আর তখনই ঠিক করে, এর শাস্তি পেতে হবে বৃদ্ধকে। মারধর বা বেঁধে রাখা নয়। বৃদ্ধকে প্রায় নারকীয় যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে হয়। জোর করে তাঁর পায়ুতে ঢুকিয়ে দেওয়া বিয়ারের বোতল। প্রবল যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে কোনক্রমে তিনি হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন। সেখানেই তড়িঘড়ি অপারেশনের ব্যবস্থা করে বৃদ্ধকে সুস্থ করে তোলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যক্তির পরিচিত ফাঁস করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে একাকী থাকা বৃদ্ধের এই হেনস্তার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় কার্যত হতবাক হয়েছেন সকলেই।