সৌজন্য সাক্ষাতের পরেই এবার মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর। রাজ্যে CAA কার্যকর করা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ বিরোধী দলনেতার। তৃণমূলকে হারাতে হতেই পারে কৌশলী রাম-বাম জোট। পঞ্চায়েতের প্রচারে দাবি মিঠুন চক্রবর্তীর। পালটা জবাব তৃণমূলের। ‘সমস্যায় পড়েই মিঠুন বিজেপিতে’, তোপ দেগে অভিনেতার গ্রেপ্তারি চাইলেন কুণাল। একহাত শুভেন্দুকেও। মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাতের পর এবার অভিষেককে শান্তিকুঞ্জে চায়ের আমন্ত্রণ দিব্যেন্দুর। মুম্বই হামলার ১৪ বছরে শহিদদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর। হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি দিতে হবে, পাকিস্তানকে তোপ বিদেশমন্ত্রীরও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 24 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও
বিস্তারিত খবর:
১। বিধানসভায় সৌজন্য সাক্ষাতের পরেই স্বমেজাজে শুভেন্দু অধিকারী। মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার হুঁশিয়ারি থেকে বাংলায় সিএএ কার্যকর করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বারংবার বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবেই। মতুয়াদের গড় ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন,”নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব।” এদিন বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন,”CAA বিরোধিতার নামে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, হেনস্তা করা হচ্ছে।” এ ছাড়াও এদিন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ভেদাভেদ করেন না। কারও নাগরিকত্ব কাড়া হবে না। এটা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এটা সমনাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।” তবে শুভেন্দু একা নন, এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার চাইলেও CAA আটকাতে পারবে না। বিজেপি বিধায়কের চ্যালেঞ্জের পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। শুভেন্দুকে বিঁধে তিনি বলেন,”একবার লোডশেডিং করে ভোটে জিতেছেন। মানুষ ওঁকে আর জেতাবে না। তবু চাই আমাদের বিরোধী দলনেতা ভাল থাকুন। তাই আমরা সকলে বলছি, গেট ওয়েল সুন।” বিধানসভায় সৌজন্য সাক্ষাৎ যে অতীত, একের পর এক তোপ দেগে তাইই প্রমাণ করতে চাইলেন শুভেন্দু, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
২। তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারে বাম-কংগ্রেস। শনিবার আসানসোলের সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির হয়ে প্রচারে আসানসোলে পৌঁছেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “সিপিএমকে হারাতে সব বিরোধী দল তৃণমূলকে সাহায্য করেছিল। বিজেপির তখন ক্ষমতা সামান্য ছিল। তবু তারা সাহায্য করেছিল। এবার তৃণমূলের মতো একটা ফোর্সকে হারাতে সকলের একজোট হওয়া উচিত। ওদের সঙ্গে আমাদের মতাদর্শে পার্থক্য রয়েছে। সেটা থাক। কিন্তু তৃণমূলকে হারাতে একজোট হওয়া দরকার।” এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার রাজনৈতিক গুরু। আমি ওঁর অনুগামী। ওঁকে আমি মারাত্মক সম্মান করি। উনি যা যা করেছেন, আমিও তাই তাই করি দেখুন।” এরপরই তৃণমল সুপ্রিমোর একের পর এক দলের সঙ্গে জোট নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা আজ মিঠুন চক্রবর্তী বললেন মানে বিজেপির একা লড়ার ক্ষমতা নেই। তাই বামেদের সঙ্গে জোট করার কথা বললেন।” বিরোধী জোট নিয়ে শাসকদলের অভিযোগকেই এদিন কার্যত স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন মিঠুন, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর