বাংলার রাজ্যপাল পদে শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস। তুচ্ছ কারণে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গরহাজির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কটাক্ষ তৃণমূলের। বকেয়া ডিএ’র দাবিতে বিধানসভা অভিযান রাজ্য সরকারি কর্মীদের। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জখম বেশ কয়েকজন। সুপ্রিম কোর্টে মানিকের মামলায় অনুপস্থিত CBI আইনজীবী। ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সরকার বদল নয়, রাজ্যের সব থেকে বড় চোর ধরা পড়বে! রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘ডিসেম্বর রহস্য’ উন্মোচন শুভেন্দুর। রাজ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১১ জনের। অক্রান্তের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। ক্লাবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবেগঘন পোস্ট সিআর সেভেনের। রোনাল্ডোর বিদায়ের পরই ক্লাব বিক্রির পথে গ্লেজাররা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 22 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- প্রথম ম্যাচেই স্বপ্নভঙ্গ মেসির, সৌদি আরবের কাছে হার আর্জেন্টিনার
বিস্তারিত খবর:
১। বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে এবার শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস। বুধবার রাজভবনে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী। নির্ধারিত সময় মেনে শপথ বাক্য পাঠ করার পর এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন নবনিযুক্ত রাজ্যপাল। সেখানে মিষ্টির হাঁড়ি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ হিসাবে তিনি জানান, দুই বিজেপি ত্যাগী বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর পাশে তাঁর বসার ব্যবস্থা করে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে। তাঁর আসন হওয়া উচিত প্রথম সারিতে। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে ধরা পড়ল এক অন্যরকমের সৌজন্য বিনিময়ের ছবি। সভাস্থলে খানিক পিছনের সারিতে বসেছিলেন সিপিএম নেতা তথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। অনুষ্ঠানের শেষদিকে বর্ষীয়ান নেতাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুশল বিনিময় করে নিজেই তাঁর চেয়ার টেনে সামনের দিকে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সদ্য শপথ নেওয়া রাজ্যপালও বিমান বসুর সঙ্গে হাত নেড়ে সৌজন্য বিনিময় করেন।
২। চাকরিপ্রার্থীদের পর এবার কলকাতার রাজপথে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বুধবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা পথে নামেন। প্রথমে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে সেখানে তাঁদের মিছিল আটকে দেওয়া হয়। ফলত পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান সরকারি কর্মীরা। তারপর কার্যত দৌড়ে বিধানসভার মূল ফটকের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। আরও একবার পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। খবর পেয়ে ডিসি সাউথের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী সেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখান থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় আন্দোলনকারীদের। এতে আন্দোলনকারীদের দাবি, টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে। এমনকি কিছু বয়স্ক আন্দোলনকারীকে পুলিশ ঘুষি মেরেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। যদিও পালটা অভিযোগ এসেছে পুলিশের তরফেও। পুলিশের দাবি, টানা হ্যাচড়ায় দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ৪৪ জন আন্দোলনকারীর নামে মামলাও করেছে পুলিশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর