দলিল উদ্ধার ইস্যুতে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল তৃণমূল। দিলীপকে কেন গ্রেপ্তার নয়, তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। ‘সিআইডি তদন্ত হোক’, পালটা চ্যালেঞ্জ নেতার। ঝাড়গ্রাম থেকে ফের মোদি সরকারকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদে। তৃণমূল সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু শিশুর। টেট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের গতিতে ক্ষুব্ধ বিচারপতি। সিটে বড় রদবদলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কালীঘাটে জোর বিক্ষোভ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- অখিল গিরির মন্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়, ক্ষমাপ্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিল উদ্ধার হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সুরে বুধবার গলা চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তৃণমূলের আক্রমণের পালটা সিআইডি তদন্তের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এসপি সিনহার দাবিতে প্রকাশ্যে এসেছে সিবিআই সিজার লিস্ট, যেখানে দিলীপ ঘোষের সম্পত্তির দলিলের উল্লেখ রয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের দলিল সামনে আসার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল। এবার বিজেপি নেতার উদ্দেশে নাম না করে আক্রমণ শানালেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, অর্পিতা ও পার্থর সঙ্গে যা হয়েছে তা ঠিক। কিন্তু তাহলে দিলীপের বিরুদ্ধে কেন কোনও তদন্ত হল না? কেন গ্রেপ্তার করা হল না তাঁকে? এদিকে এদিন দিলীপ পালটা বলেন, “তদন্ত হোক, তবে তো গ্রেপ্তার হবে। এখন সবাই সিবিআইয়ের চা খাচ্ছে। অন্যরা কেন খাচ্ছে না তাই দুঃখ হচ্ছে। আমি তো স্বীকার করেছি দলিল আমি দিয়েছি। নিজের টাকায় ফ্ল্যাট কিনেছি। লোন নিয়েছি। কোনও লুকনোর বিষয় নয়। সিআইডি তোমাদের আছে। দম থাকলে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত করাও।” সব মিলিয়ে দলিল ইস্যুতে ফের যুযুধান রাজ্য রাজনীতির শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষ।
2. ঝাড়গ্রাম সফর সেরে কলকাতায় ফেরার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সবকিছু সত্ত্বেও যত দ্রুত সম্ভব আমজনতার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে, এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।
আদিবাসীদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তার উত্তরে ফের কেন্দ্রের উদ্দেশে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, “কেন্দ্র ঘরের টাকা আটকে দিয়েছে। আমরা কী করব? প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। জিএসটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু রাজ্যকে যা টাকা দেওয়ার কথা তা দিচ্ছে না। ফলে মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।” টাকা নিয়ে এত সমস্যা, তবে কি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথে হাঁটবে রাজ্য, এদিন সেই প্রশ্নও ওঠে। তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হঠাৎ করে কোনও আন্দোলন হয় না। তার জন্য আগে ভাল করে পরিস্থিতি বুঝতে হয়। তারপর পদক্ষেপ।” তবে যতই অসুবিধা থাকুক, বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানের পথে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, জলের যা সমস্যা রয়েছে, এদিন থেকেই তা সমাধানের কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়েই জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরে বুধবারই আধিকারিকরা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন বলে খবর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।