পুরনো একজোড়া চটি। প্রায় ছেঁড়াখোঁড়া। তারই দাম নাকি দেড় কোটি টাকারও বেশি। আজ্ঞে হ্যাঁ, সাম্প্রতিক এক নিলামে ঘটেছে এমনই অবাক কাণ্ড। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ঘরে পরার জন্য একজোড়া সাধারণ চটি কিনতে কত টাকাই বা খরচ হয়? হ্যাঁ, আপনি ব্র্যান্ডের ভক্ত হলে অবশ্য আলাদা কথা। কিন্তু তা হলেও, দু’পাটি চটির দাম কোটি টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে, এমনটা কি ভেবেছেন কখনও? কিন্তু শুনতে যতই অবাক লাগুক না কেন, ব্যাপারটা একেবারে সত্যি। ওই যে কথায় বলে না, ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন? এও যেন অনেকটা তেমনই। সাম্প্রতিক এক নিলামে বহুদিনের ব্যবহার করা একজোড়া ছেঁড়াখোঁড়া চটিজুতোর দাম উঠেছে ২ লক্ষ আঠারো হাজার সাতশো পঞ্চাশ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ কোটি সাতাত্তর লক্ষ টাকারও বেশি। যা শুনে চোখ কপালে তুলছেন নেটিজেনদের একাংশ।
আরও শুনুন: কারও দৈনিক রোজগার হাজারের বেশি, কারও ব্যাঙ্কে জমা লক্ষ টাকা! চেনেন এই ভিক্ষুকদের?
তবে হ্যাঁ, সকলে কিন্তু এ কথা শুনে অবাক হননি। কেন এই বিশেষ চটিজুতোর দাম এমন আকাশছোঁয়া, সে কথা তাঁরা ভাল করেই জানেন যে। আসলে মালিকের নামের কারণেই দাম বেড়ে গিয়েছে ওই জুতোজোড়ার। বাদামি রঙের ওই বারকেনস্টকস স্যান্ডেল যে খোদ অ্যাপলের স্রষ্টা স্টিভ জোবসের সম্পত্তি।
সম্প্রতি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে ‘জুলিয়েনস অকশন’ নামের একটি সংস্থা জোবসের ব্যবহার করা ওই জুতোজোড়া নিলামে তোলে। নিলামকারী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে এই জুতো পরতেন জোবস। এত দিন ধরে সেগুলি ব্যবহার করা হয়েছে যে, সেগুলির উপর রীতিমতো পায়ের ছাপ পড়ে গিয়েছে। তার আগে এই স্যান্ডেল জোড়া স্টিভ জোবসের ম্যানেজার মার্ক শেফের ছিল বলেও শোনা গিয়েছে। মৃত্যুর পরেও তথ্যপ্রযুক্তি জগতের এই বিস্ময়পুরুষকে নিয়ে মানুষের মনে কতখানি আগ্রহ রয়ে গিয়েছে, সে কথাই যেন স্পষ্ট করে দিয়েছে এই নিলাম।
আরও শুনুন: রঙিন ফুলে ঢাকা, অথচ সায়ানাইডের থেকে ৬০০০ গুণ বিষাক্ত পদার্থ মেলে এই গাছে
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল নিলামে জুতোগুলির দাম উঠবে ষাট হাজার ডলারের মতো। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় আটচল্লিশ লক্ষ টাকার মতো। কিন্তু নিলাম শুরু হতেই সব হিসেব গুলিয়ে যায়। অন্য সকলকে পিছনে ফেলে শেষমেশ জুতোজোড়ার মালিকানা জিতে নেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। তবে এই পুরনো জুতো নিয়ে ওই ক্রেতা শেষমেশ কী করবেন, তা নিয়ে রীতিমতো অবাক হয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। একে অর্থের অপচয় বলেও মনে করেছেন তাঁরা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দরিদ্র মানুষের উপকারে লাগানো উচিত ছিল, এমনটাও দাবি করেছেন নেটিজেনরা।