রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়। দলের তরফে ক্ষমা চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতের বাজারে সবজির দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। কোল্ড স্টোরেজ থেকে ৫০ শতাংশ আলু বের করার নির্দেশ। জামিন মঞ্জুর হল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। জোর করে ধর্মান্তকরণের ফল আগামীতে হতে পারে ভয়াবহ। উদ্বেগ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে করা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। নেতা অন্যায় করেছেন জানিয়ে দলের তরফে ক্ষমা চেয়ে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রপতিকে আমরা সকলে সম্মান করি। তাঁকে অখিল যা বলেছে, অন্যায় করেছে। দল কখনও তা অনুমোদন করে না। আমরা অখিলকে সতর্ক করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি ওর সঙ্গে। ও নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। আমরা এ ধরনের কোনও অন্যায় সমর্থন করি না।” ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য করলে দল নিজের মতো ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। এদিন মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, ব্যক্তি আক্রমণ বা রাজনীতিতে কারোর সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলা তাঁর দলের সংস্কৃতি নয়। এর আগেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে ঊষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক ভাবে লড়াই চলতে পারে, কিন্তু ব্যক্তি আক্রমণ নয়। প্রসঙ্গ ভিন্ন হলেও এদিন বিজেপির আক্রমণের ভাষা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী নেতাদের মন্তব্যের নমুনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “অখিল গিরি যা বলেছেন, তা অন্যায়। দল অনুমোদন করে না। অখিলকে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যায়কে অন্যায় তো বলতেই হবে। কিন্তু আরেকটা কথাও ভেবে দেখা দরকার। বীরবাহা হাঁসদা তো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়ে, সাংস্কৃতিক জগতের মেয়ে। ওকে জুতোর তলায় রাখার কথা বলা কি ঠিক?” পাশাপাশি এদিন অখিল গিরির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার আবেদন ওঠে আদালতে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
২। শীতের মরশুমে বাংলায় ঊর্ধমুখী সবজির দাম। তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সোমবার টাস্ক ফোর্স ও কৃষি দফতরের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করলেন তিনি। বৈঠক থেকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আলুর দাম কেন বাড়ছে, তা জানতে চান তিনি। সাধারণ মানুষ এতে বিপদে পড়ছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের করে আনার নির্দেশ দেন। এদিন হিমঘর মালিকদের মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেন, “এত আলু মজুত করলে হবে না। ৫০ শতাংশ আলু কোল্ড স্টোরেজ থেকে ছেড়ে দিন। মানুষের স্বার্থে, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করতে হবে। চাষিদের হাতে যেন সেই টাকা পৌঁছয়। যদি আপনারা তা না করেন, তাহলে আমি সুফল বাংলা স্টল থেকে আলু কমদামে বিক্রি করব।” সুফল বাংলা স্টলগুলিতে শাক-সবজির স্টক বাড়ানোরও নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি মুরগির মাংসের দামও যাতে না বাড়ে সে ব্যাপারে নজর রাখতে বলেন। বাঁধাকপি, শিম-সহ মরশুমি সবজির দাম যাতে সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে নিয়মিত দেখভালের নির্দেশ দেন টাস্ক ফোর্সকে। এদিনের বৈঠক থেকে মৎস্য দপ্তরকে মাছের উৎপাদন বাড়ানোরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।