কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে আটক হলেন দুই মুসলিম যুবক। সঙ্গে ছিলেন এক হিন্দু বন্ধু। কেন তাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করতে চাইছিলেন? জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আসুন, শুনে নিই পুরো ঘটনাটি।
তিন বন্ধু ঢুকতে চাইছিলেন কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে। ধর্ম পরিচয়ে তাঁদের মধ্যে দুজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। আর সেই কারণেই আটক করা হল দুই মুসলিম যুবককে। তিন যুবকই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। পুলিশ জিজ্ঞসাবাদ করছে তিনজনকেই।
আরও শুনুন: অন্য ধর্মের কথা জানাও জরুরি, ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাই পাঠ গীতা-উপনিষদের
জানা যাচ্ছে, তিন যুবক যখন চার নম্বর গেট দিয়ে মন্দিরে ঢুকতে যাচ্ছিলেন, তখনই সন্দেহ হয় প্রহরারত সিআরপিএফ কনস্টেবলের। তিনি তাঁদের বাধা দিয়ে একপাশে সরিয়ে আনেন। প্রাথমিক প্রশ্নোত্তরেই জানা যায় যে, তিনজনের মধ্যে দুজন মুসলিম। তখনই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। তিন যুবককেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। ইন্টেলিজেন্সি ব্যুরোর প্রতিনিধিরাও তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে মনস্থ করেছেন। তল্লাশি করে অবশ্য তিন যুবকের কাছে আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি। তাহলে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা মন্দিরে ঢুকছিলেন? উত্তরে যুবকরা জানান, বন্ধুর ইচ্ছেতেই বিশ্বনাথ মন্দিরে ঢুকছিলেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, এর আগে তিন বন্ধু আজমের শরিফে গিয়েছিলেন। তখনই হিন্দু বন্ধুটি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে, তাঁদের একসঙ্গেবিশ্বনাথ মন্দিরেও যাওয়া উচিত। ধর্মস্থান হিসাবে বিশ্বনাথ মন্দিরের মাহাত্ম্য অপরিসীম। সে কথা মনে করিয়ে দিয়েই বাকি বন্ধুদের মন্দিরে যাওয়ার জন্য রাজি করান তিনি। একরকম বন্ধুর ইচ্ছাপূরণের জন্যই দুই মুসলিম যুবক মন্দিরে এসেছিলেন।
আরও শুনুন: পিয়ানো বাজান, ঘোড়াও চড়েন… কলকাতার পুরনো বাড়িতে এখনও নাকি দেখা মেলে ‘তেনাদের’
এদিকে জ্ঞানবাপী মামলাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে বিতর্ক তুঙ্গে বেনারসে। পুরো বিষয়টিই এখন আদালতের বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে জোর দেওয়া হয়েছে সামগ্রিক নিরাপত্তায়। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তাই নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। জ্ঞানবাপী মামলায় রায়দানও আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে দুই মুসলিমের যুবকের মন্দিরে ঢুকতে চাওয়ায় খটকা লাগে প্রহরারত সিআরপিএফের। যদিও প্রাথমিক তদন্ত জানাচ্ছে, কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না ওই তিন যুবকের, নেহাত বন্ধুকৃত্য করতেই দুই মুসলিম যুবক মন্দিরে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ।