মাঠের দ্বৈরথ শেষ হয়েছে। পড়ে আছে মাঠের বাইরের চাপানউতোর। আর তা নিয়েই এবার ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামিকে দু-একটি পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। জানিয়ে দিলেন, ক্রিকেটারদের অন্তত ঘৃণা ছড়ানো উচিত নয়। কোন প্রসঙ্গে আফ্রিদির এই মন্তব্য? আসুন শুনে নিই।
প্রায় অবিশ্বাস্য ভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল পাকিস্তান। আর আরও অবিশ্বাস্য ভাবে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে কথায়-কথায় চাপানউতোর চলছিলই। তা শেষমেশ প্রভাবিত করল ক্রিকেটারদেরও। ইংল্যান্ডের কাছে ফাইনালে পাকিস্তানে হারতেই শোয়েব আখতার জানিয়েছিলেন, তাঁর মন ভেঙে গিয়েছে। তাতেই টিপ্পনি কেটে শামি লিখেছিলেন, সবই কর্মফল। জবাবে শাহিদ আফ্রিদি বললেন, ক্রিকেটারদের এরকম ঘৃণা ছড়ানো উচিত নয়। যদি ক্রিকেটাররাই তা করে থাকেন, তাহলে আর সাধারণ মানুষের থেকে কী আশা করা যায়!
আরও শুনুন: অন্য ধর্মের কথা জানাও জরুরি, ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাই পাঠ গীতা-উপনিষদের
শামির এই মন্তব্যের অবশ্য প্রেক্ষিত আছে। ভারত বিশ্বকাপ ছিটকে যাওয়ার পর পাক প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ভারতকে খোঁচা দিয়েছিলেন। তারপর থেকে লাগাতার পাক অনুগামীরা, ভারতীয় সমর্থকদের খোঁচা দিয়েছেন নানা প্রসঙ্গ তুলে। ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তান যখন পর্যুদস্ত হল, তখন পালটা দিতে শুরু করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। শামিও এর ব্যতিক্রম নন। তবে ঠিক এখানেই আপত্তি আফ্রিদির। তাঁর মতে, এই কাজটিই করা উচিত নয়। এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার বলেন, ক্রিকেটারদের বহু মানুষ অনুসরণ করেন। তাঁরা রোল মডেল। ক্রিকেট খেলাটার প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরা। ফলে, তাঁদের উচিত নয় এ ধরনের বিবাদে ইন্ধন দেওয়া। বরং এই সবকিছুতে ইতি টানাই তাঁদের কর্তব্য।
আরও শুনুন: উন্নতি চাই মহিলা ক্রিকেটের, নিজের পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্পনসর জোগাড়ে নেমেছিলেন মন্দিরা
ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী। খেলার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো হয়েছে। আমরা চাই ভারতের সঙ্গে খেলতে। সেই সঙ্গে চাই যে, ভারতও পাকিস্তানে এসে খেলুক’। দুই পড়শি দেশের ক্রিকেটাররা তাই যেন বিবাদে না জড়ান এমনটাই আরজি আফ্রিদির। শামিকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু এখনও শামি ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাই তাঁর থেকে এ ধরনের মন্তব্য একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। শুধু তাই নয়, আফ্রিদির মতে, যদি ক্রিকেটাররা অবসরও নিয়ে নেন, তাহলেও তাঁদের এরকম কথা বলা উচিত নয়। শামির মন্তব্য যে সামগ্রিক ভাবে ক্রিকেটের ভদ্রলোকীয় পরিবেশের পক্ষে অনুকূল নয়, সে কথাই বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার।