ডেঙ্গুর তথ্য নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। ডেঙ্গু নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য, দাবি কেন্দ্রের। পালটা তথ্য দিয়ে অভিযোগ ওড়ালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। ২০১৪ সালের টেটের ফলপ্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৩,৯২৯ শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ হাই কোর্টের। নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণ মঞ্চে আগুন। বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের কামড়ের জের। বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ লালবাজারের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- জীবন থাকতে CAA কার্যকর নয় বাংলায়, স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
১। এবার ডেঙ্গুর তথ্য নিয়ে শুরু কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। কেন্দ্রের দাবি, ডেঙ্গু সংক্রান্ত তথ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ঠিকমতো পাঠানো হচ্ছে না। এভাবে তথ্য গোপন করলে কোনও সাহায্য করা মুশকিল বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে উষ্মাপ্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী। তিনি সাফ জানালেন, কেন্দ্রের অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। শুধু ডেঙ্গু কেন, রাজ্য সরকার কোনও রোগের তথ্যই গোপন করে না। প্রতি সপ্তাহে জেলার স্বাস্থ্যবিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে তথ্য সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যভবন। তথ্য পাওয়া যায় ব্লক স্তর থেকে। তারপর তা একত্র করে বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী ডেটা ব্যাংক তৈরি হয়। সপ্তাহে সপ্তাহে এই জেলাওয়াড়ি তথ্য পাঠানো হয় দিল্লিতে। ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগীর আরও দাবি, এতটা গুছিয়ে কেন্দ্রের কাছে তথ্য পাঠানোর কাজ অন্য কোনও রাজ্য করে না। করোনা কালেও এ রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ ওঠায় রীতিমত ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য প্রশাসন। কেন্দ্রকে জবাব দিতে তাই নিজেই সরব হলেন খোদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
২। অবশেষে ২০১৪ সালের টেটের ফলপ্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, ”২০১৪ সালে যারা টেট পাশ করেছিল, নম্বর-সহ তাদের ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। ৮২ নম্বর পেলে টেট উত্তীর্ণ বলে গণ্য করেছে পর্ষদ। ১ লক্ষ ২৫ হাজার জনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।” পাশাপাশি এদিন উত্তীর্ণদের শূন্যপদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিল আদালত। এদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে চাকরিপ্রার্থীরা।
২০১৪ সালে টেটের ফলাফলের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু সেই সময় ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছিল। বাকি ছিল ৩ হাজার ৯২৯ পদে নিয়োগ। এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে শূন্যপদ পূরণের আরজিতে মামলা হয়। সেখানে ২৫২ জন প্রার্থীকে সরাসরি নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে ডিভিশন বেঞ্চেও কার্যকর রইল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।