আক্ষরিক অর্থেই প্রেমের জালে ‘বন্দি’ এইসব ভয়ংকর অপরাধীরা। কেউ মাদকের কারবারি, তো কেউ মাফিয়া ডন। কিন্তু সুন্দরী পুলিশ অফিসারের প্রেমে পড়েই হল সর্বনাশ। আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রেমের ফাঁদ পেতেই অপরাধীদের ধরেন এই মহিলা, যিনি ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা পুলিশের শিরোপা পেয়েছেন। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কেবল বুদ্ধি নয়, তার সঙ্গে রূপযৌবনকেও হাতিয়ার করেছেন তিনি। আর এভাবেই একের পর এক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই মহিলা পুলিশ অফিসার। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা পুলিশের শিরোপাটি আপাতত তাঁরই দখলে। আর এই সুন্দরী মহিলার প্রেমেই কুপোকাত মাফিয়া ডন থেকে চোরাচালানকারী, সব তাবড় তাবড় অপরাধীরা। বর্তমানে মাদক বিরোধী প্রচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন দক্ষিণ আমেরিকার এই মহিলা পুলিশ কর্মী। মাদক ছাড়লে মিলবে তাঁর সঙ্গে ডেটে যাওয়ার সুযোগ, তাঁর এই প্রস্তাবে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: কখনোই পিতৃহারা হবে না সন্তানেরা, ৮ পুরুষের থেকে ১১ সন্তান লাভের পর মন্তব্য তরুণীর
আজ্ঞে হ্যাঁ। জন্মসূত্রে পাওয়া সৌন্দর্যকেই নিজের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বানিয়ে তুলেছেন ডায়না র্যামিরেজ। কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের এই পুলিশ অফিসারের প্রেমে পাগল মাফিয়া ডন থেকে শুরু করে মাদক কারবারিরা। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের গোপন ডেরা থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেন ডায়না। আর এটাই তদন্তকারী হিসেবে তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি বলে জানিয়েছেন এই মহিলা পুলিশকর্মী। একটা মিশনে সাফল্য এলেই পরবর্তী শিকার ধরার জন্য আবার নতুন করে ভালোবাসার জাল বিছাতে শুরু করেন ডায়না। কিন্তু অপরাধীদের ধরার জন্য কেন এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন তিনি?
আরও শুনুন: বিপাকে পর্ন তারকা! ‘নকল’ বন্দুক দেখে শুটিংয়ে হানা ‘আসল’ পুলিশের
আসলে ডায়নার রূপ যৌবনের হাতছানিতে আকৃষ্ট হতেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একের পর এক ছবিতে স্পষ্ট হয়ে উঠত শরীরী আবেদনও। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ডায়নার অনুরাগীর সংখ্যা বরাবরই মাত্রাছাড়া। বর্তমানে ৪ লাখের বেশি ভক্ত রয়েছে তাঁর। যদিও মডেলিং বা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর কথা তিনি কখনও ভাবেননি। বরং পুলিশের চাকরি নিয়ে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল। তবে পুলিশে যোগ দেওয়ার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের ছবি ভাগ করে নিতে তাঁর ভালই লাগত। একদিন সেই সূত্রেই তিনি খুঁজে পান, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ারদের মধ্যে এমন একজনের নাম। যে পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। ভারচুয়াল দুনিয়ার আড়াল নিয়েই তার সঙ্গে ভাব জমিয়ে ফেলেন ডায়না। তারপর ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ওই ব্যক্তিকে কৌশলে তুলে দেন পুলিশের হাতে। এই ঘটনা থেকেই এভাবে কাজ করার ভাবনা তাঁর মাথায় এসেছিল বলে জানিয়েছেন ডায়না। তার পর থেকে একই কায়দায় একাধিক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে ফেলেছেন তিনি। এমনকি এক মাফিয়া ডনকে গ্রেপ্তারির সাফল্য হিসেবে বিশেষ গ্যালান্ট্রি মেডেল পেয়েছেন এই পুলিশ কর্মী। কিন্তু এই শেষ অভিযানটিতে তাঁর পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ফলে খানিক বেকায়দায় পড়েছেন তিনি। পুরনো কায়দায় অপরাধীদের ফাঁসানো কঠিন হবে মনে করেই এবার প্রেমের নতুন পথ খুঁজছেন ডায়না র্যামিরেজ।