স্কুল কামাই হলে চিঠি জমা দিতে হয় শিক্ষকের কাছে। এ নিয়ম এখনও স্কুলে স্কুলে বলবৎ। তবে সে চিঠিতে বা আগাম ছুটির দরখাস্তে সাধারণত কেজো দু-চারটে কথাই লেখা থাকে। মনের আসল কথাটি লেখার জায়গা তো এ চিঠি নয়। তবে সম্প্রতি এক পড়ুয়া সেই কথাটিই লিখে ফেলতে পেরেছে অনায়াসে। আর সেই মজাদার ছুটির দরখাস্তেই মজে আছে নেটপাড়া।
নেহাতই একটা ছুটির দরখাস্ত। তাও এক পড়ুয়ার লেখা। আর সেই চিঠিই মাতিয়ে দিয়েছে নেটদুনিয়ার প্রায় প্রত্যেককে। অনেকেই সে-চিঠি দেখে বলছেন, বাচ্চার থেকে পাওয়া এই আইডিয়াই এবার কর্মস্থলেও ছুটির দরখাস্তে প্রয়োগ করতে হবে। তা কী সেই আইডিয়া? তাহলে এবার পড়ুয়ার চিঠিটায় একবার চোখ বোলানো যাক।
আরও শুনুন: চুরি করে পাকড়াও কুকুর, গালাগালি দিয়ে বন্দি টিয়া! অদ্ভুত ঘটনায় গ্রেপ্তার পশুপাখিরাও
আইএএস অফিসার অর্পিত বর্মা এই চিঠিটি শেয়ার করেছেন নেটদুনিয়ায়। দেখা যাচ্ছে, এই পড়ুয়ার নাম কালুয়া। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখন্ডে। প্রথমে সে চিঠিতে তার শারীরিক অবস্থার বিবরণ দিয়েছে। জানিয়েছে, শরীরটা ভালো নেই তার। ক-দিন ধরেই জ্বরজ্বর ভাব। তার উপর সর্দি-কাশিতেও ভুগছে খুব। তাই সে দিন চারেকের জন্য ছুটি মঞ্জুরের আবেদন জানাচ্ছে। আর এই কেজো কথার পরেই আসে সেই মোক্ষম বাক্যটি, যেখানে পড়ুয়াটি লিখেছে, আমি যদি স্কুলে না-ও যাই, স্কুল তো আর তার জন্য বন্ধ হচ্ছে না! অর্থাৎ অসুস্থতার জন্য স্কুলে যাওয়া বন্ধ হচ্ছে পড়ুয়ার কিন্তু স্কুল তো আর সেই কারণে বন্ধ হচ্ছে না। তাহলে স্কুলের কোনও ক্ষতিই যখন হচ্ছে না, তখন তার ছুটি মঞ্জুর না-হওয়ারও কোনও কারণ নেই।
छुट्टी के लिए आवेदन पत्र! 😂😂 pic.twitter.com/RVgTX5pdM1
— Arpit Verma IAS (@arpit_verma13) April 29, 2022
এই একটি কথাতেই নেটদুনিয়ার বড়রাও চমকে গিয়েছেন। স্কুল তো দূরের কথা অফিসে ছুটির দরখাস্তেও কেউ এমন কথা লিখতে পারেন না। যদিও এ কথা যে নিখাদ এবং নির্ভেজাল সত্যি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে বাচ্চা বলেই বোধহয় মনের কথাটা হাত খুলে লিখতে পেরেছে ওই পড়ুয়া। তাঁকে আর আগুপিছু বা সাত-পাঁচ ভাবতে হয়নি। আর সেই আইডিয়া বড়দের মুখেও হাসি ফুটিয়েছে। অনেকেই মজা করে বলছেন, নেটদুনিয়ায় এইসব মণিমুক্তো মেলে বলেই তো, অনেক বিরক্তি সত্ত্বেও তা ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না। তবে সকলেই এক কথায় বাচ্চাটির নির্দোষ মনের তারিফ করেছেন। যে মনে কোনও জটিলতা নেই। সরল মনেই তাই এই নির্ভেজাল ভাবনার কথা সে লিখে ফেলতে পেরেছে। নেটিজেনরা তাই বলছেন, এই সারল্যের কারণেই বাচ্চাদের দুনিয়াটা বড়দের থেকে অনেকখানি আলাদা।