রাজ্যে ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও চওড়া হচ্ছে রোগের থাবা। সংক্রমণের শীর্ষে থাকা ৫ জেলায় প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। ‘জনগণমন’র সমান মর্যাদা প্রাপ্য ‘বন্দেমাতরম’ গানটিরও। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে একই সম্মান দেওয়ার দাবি জাতীয় স্তোত্রকেও। আদালতে সওয়াল কেন্দ্রের। জিম্বাবোয়েকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত। ব্যাট হাতে ঝড় রাহুল-সূর্যের। গ্রুপ ২ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে উঠল টিম ইন্ডিয়া।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বাড়ছে আতঙ্ক, এবার ডেঙ্গুর বলি বেলেঘাটা ID হাসপাতালের সহকারী সুপার
বিস্তারিত খবর:
1. ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা রাজ্যে। শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রামবাংলাতেও চওড়া হচ্ছে রোগের থাবা। লাগামছাড়া সংক্রমণে রাশ টানতে এই সপ্তাহেই রাজ্যের ৫ জেলায় বিশেষজ্ঞদের পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
রাজ্যে গত সাতদিনে রোজ অন্তত একজনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে। এদিন দমদমের নাগেরবাজারের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে শিল্পী রায় নামে মহিলার প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গু। নার্সিংহোমের অবহেলার অভিযোগ তুলে বিতণ্ডায় জড়িয়েছে রোগীর পরিবার ও কর্তৃপক্ষ। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি– এই ৫ জেলাতে ডেঙ্গু সংক্রমণ কার্যত লাগামছাড়া। মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকে প্রথম থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। একইভাবে রোগের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকে। যদিও অবস্থা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে রবিবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার সিদ্ধার্থ নিয়োগী।
2. আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো করে রণকৌশল তৈরি করতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতিতে কামারহাটির সভা থেকে বিধায়ক মদন মিত্র আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো করে রণকৌশল তৈরি করতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতিতে কামারহাটির সভা থেকে বিধায়ক মদন মিত্র সাফ জানালেন, অশান্তি করে পঞ্চায়েত দখল করা হবে না। পাশাপাশি বুঝিয়ে দিলেন, ভাল কাজের নিরিখেই বিধায়ক হওয়া উচিত।
কামারহাটিতে তৃণমূলের তরফে মিলন উৎসবের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যরা। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ তোলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানে তিনি বলেন, “একটাই অনুরোধ, মেরে পঞ্চায়েত নিয়ে নেব এই চিন্তা থেকে সরে যান। মারধর করে পঞ্চায়েত নিতে চাই না। প্রত্যেক মানুষের কাছে গিয়ে কথা বলতে হবে। তৃণমূলের কোনও ভুল থাকলে কর্মীরা এসে নেতাকে বলুন এই কাজ ঠিক করেননি। তারপর যদি কর্মীর উপর আক্রমণ হয়, আমরা দায়িত্ব নেব।” এদিকে ওই অনুষ্ঠানেই সৌগত রায় বলেন, “আমরাও দলের মধ্যে ঝাড়াই বাছাই করি। এটাও বলার সময় এসেছে যে, যারা আর্থিক সুবিধার জন্য এসেছিলেন তাঁদের দল থেকে সরে যাবার সময় এসেছে। আমাদের ৯৫ শতাংশ কর্মী সৎভাবে কাজ করেন। আমরা চাই না কিছু লোক তাঁদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করুক।” সৌগত রায়ের এহেন মন্তব্যে ফের দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।