হোস্টেলের ঘরে থাকা সিলিং ফ্যান ঘিরে রাখা হয়েছে লোহার বেড়াজালে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু জোর চর্চা। কেন করা হয়েছে এমনটা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রাজস্থানের কোটা অঞ্চলের একটি হোস্টেলের ছবি। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে হোস্টেলের ঘরে থাকা সিলিং ফ্যানটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে লোহার খাঁচা দিয়ে। সাধারণ ঘরের সিলিং ফ্যানের চারপাশে এমন লোহার খাঁচা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এর নেপথ্যে কারণ কী? আর তাই নিয়েই নেটমহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
আরও শুনুন: লক্ষ্মী থেকেই ‘ল্যাকমে’ নামকরণ, স্বাধীন দেশের মেয়েদের সাজিয়ে তোলার প্রকল্প নিয়েছিলেন নেহরু
বলিউডের থ্রি ইডিয়টস সিনেমায় দেখা গিয়েছিল এমন এক হোস্টেলকে। যেখানে নিজের মেধার যোগ্য স্বীকৃতি না পেয়ে একসময় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল এক পড়ুয়া। সিলিং ফ্যান থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছিল সে। সত্যি বলতে কেবল এই সিনেমাটিই নয়, একাধিক সিনেমায় আত্মহননের দৃশ্যে এই উপায় অবলম্বন করেছে অনেক চরিত্রই। বাস্তবেও সেই মর্মান্তিক ছবির দেখা মেলে অনেক সময়েই। আবার বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, হোস্টেলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহননের প্রবণতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। সেই অনভিপ্রেত ঘটনা আটকাতেই কি এই পথে হেঁটেছেন হোস্টেল কর্তৃপক্ষ? ভাইরাল হওয়া ছবিটির নিচে এমনই মন্তব্য করেছেন কোনও কোনও নেটিজেন। তাঁদের দাবি, হোস্টেলের পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই নিশ্চয়ই এমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কর্তৃপক্ষ। আবার এই দাবিকে উড়িয়েও দিয়েছেন নেটিজেনদের এক অংশ। তাঁদের মতে এর সঙ্গে আত্মহত্যা ঠেকানোর কোনও যোগ নেই। অনেক সময় আবাসিকরা হস্টেলের নানান আভ্যন্তরীণ জিনিসের ক্ষয়ক্ষতি করেন। তার মধ্যে একটি হল সিলিং ফ্যান। সেই ক্ষতি আটকাতেই এই ব্যবস্থা। আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন, সিলিং ফ্যান যাতে আবাসিকদের মাথার উপর ভেঙে না পড়ে, সেই দুর্ঘটনা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ আবার বলেছেন এমন ব্যবস্থা আসলে পড়ুয়াদের সুবিধার্থেই করা হয়েছে। তারা নাকি অনায়াসেই ওই লোহার খাঁচায় জামাকাপড় শুকোতে পারবে।
আরও শুনুন: জামা পরলেই হওয়া যাবে অদৃশ্য, নয়া আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীরা
ভাইরাল হওয়ার পর ওই ছবির নিচে অনেক পড়ুয়া মন্তব্য করেছেন, শুধুমাত্র কোটাতেই নয়, দেশের বিভিন্ন হোস্টেলেই এহেন অদ্ভুত ব্যবস্থা দেখা যায়। তবে তা কেন করা হয়, সে কথা ঠিক করে বলতে পারেননি কেউই।