মায়ের স্মৃতিতেই কেটেছিলেন লটারির টিকিট। পুরস্কার না জেতায় সেই টিকিট ছিঁড়ে ফেলেও দিয়েছিলেন অবশ্য। কিন্তু ডাস্টবিনে ফেলা সেই টিকিটের দৌলতেই শেষমেশ ভাগ্য খুলে গেল এই মহিলার। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কিছুদিন আগেই মাকে হারিয়েছেন এই মহিলা। মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করতে গিয়েই তাঁর মনে পড়েছিল মায়ের লটারির নেশার কথা। আর সেই স্মৃতিকে মনে করেই একটি লটারির টিকিট কিনে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু নেহাত শখে কেনা এই টিকিট যে তাঁর ভাগ্যটাই বদলে দেবে, সে কথা কে জানত!
তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: চুম্বনে অ্যালার্জি! ডেটে গিয়ে প্রেমিকের আদরের জেরে প্রাণ নিয়েই টানাটানি যুবতীর
ইংল্যান্ডের বাসিন্দা কেলি ফার্থ প্রতি সপ্তাহেই লটারির দোকানে যেতেন বটে, তবে নিজের নয়, তাঁর মায়ের জন্য। তাঁর মা ক্যারলের ছিল লটারির টিকিট কাটার নেশা। তবে নেশাই সার, তাঁর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি কোনও দিনই। সম্প্রতি মারাও গিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। আর মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর ফ্ল্যাটটি ঝাড়পোঁছ করতেই গিয়েছিলেন মধ্য চল্লিশের ওই মহিলা। সেই সূত্রেই তাঁর হাতে উঠে আসে কয়েকটি নম্বর লেখা একটি কার্ড। আপাতদৃষ্টিতে অসংলগ্ন সেই নম্বরগুলি দেখে মাকে ঘিরে আরেক স্মৃতি জেগে ওঠে কেলির মনে। মনে পড়ে মায়ের লটারি কাটার শখের কথা। মায়ের সেই স্মৃতির সুবাদেই এবার নিজেই লটারির টিকিট কাটার কথা ভাবেন ওই মহিলা। সেইমতোই, একই লটারির দোকান থেকে টিকিট কাটেন তিনি। আর টিকিট কাটার সময় ব্যবহার করেন ওই কার্ডে লেখা সংখ্যাগুলিই। ৭, ১৭ এবং ৩৭— এই নম্বরগুলি নিয়েই প্রতিবার ভাগ্যপরীক্ষা করতেন তাঁর মা।
বুধ এবং শনিবার, সপ্তাহের দুটি দিন লটারির লাকি ড্র হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিন মায়ের মতোই নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছিল কেলিকে। হতাশার জেরে নিজের কেনা টিকিটটি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তিনি। বাড়ির বাইরের ডাস্টবিনে ফেলেও দিয়েছিলেন ছেঁড়া টুকরোগুলিকে। কিন্তু শনিবার টেলিভিশনে লাকি ড্রয়ের ফলাফল ভেসে আসতেই তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। কেলি দেখেন, তাঁর মায়ের বিশ্বাস অনুযায়ী ‘লাকি নম্বর’গুলিই এবার জিতে নিয়েছে লটারি। তাঁর ভাগ্যে জুটেছে ১,৬০০ পাউন্ড, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
আরও শুনুন: জামা পরলেই হওয়া যাবে অদৃশ্য, নয়া আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীরা
ডাস্টবিন ঘেঁটে ওই ছেঁড়া টিকিটটি খুঁজে বার করে, ছেঁড়া টুকরোগুলি ফের জোড়া লাগিয়ে পুরস্কার বাবদ অর্থ উদ্ধার করেছেন কেলি। মায়ের স্মৃতিতে যে আকস্মিক অর্থপ্রাপ্তি ঘটেছে, সেই টাকা খরচ করার জন্যও মায়ের স্মৃতির কাছেই ফিরে গিয়েছেন তিনি। ওই টাকা দিয়ে মায়ের প্রিয় ছুটি কাটানোর জায়গাতেই এবার সপরিবারে ঘুরে আসতে চান ওই মহিলা।