মাল নদীতে হড়পা বানে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র ও রাজ্যের। দুর্ঘটনার রিপোর্ট তলব নবান্নের। ঘটনার জেরে জলপাইগুড়িতে বন্ধ পুজো কার্নিভাল। হিসাব দিতে হবে খয়রাতির। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশনের বার্তায় ক্ষিপ্ত বিরোধী শিবির। প্রধানমন্ত্রীর কথামতো কাজ কমিশনের, অভিযোগ তৃণমূলের। গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ধৃত আমির খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হদিশ ১৫০০ অ্যাকাউন্টের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 অক্টোবর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- উত্তরকাশীতে ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত অন্তত ১০, আটকে আরও ১৮ পর্বতারোহী
বিস্তারিত খবর:
১। দশমীতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যুমিছিল। প্রতিমা বিসর্জনের সময় এই বিপর্যয়ের দরুন শোকের ছায়া গোটা রাজ্যেই। ঘটনার জেরে জলপাইগুড়ি জেলার পুজো কার্নিভাল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য। নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এবং জখমদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে। টুইট করে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। নিরঞ্জনের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল কি না, প্রশাসনিক স্তরে কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, প্রশাসনিক কোনও গাফিলতি ছিল না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরেই এই দুর্ঘটনা। তবে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যজুড়ে বিসর্জন নিয়ে নয়া নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য সরকার।
২। শুধু প্রতিশ্রুতি দিলেই হবে না, হিসাব দিতে হবে খয়রাতির। রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশে সম্প্রতি এমনই বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যাকে গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির। তাদের অভিযোগ, মোদি যা বলছেন নির্বাচন কমিশন সেটাই করছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন নিজেদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রকাশ করে। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশে বলা হয়েছে, ভোটের সময় কোনও চটকদারি প্রতিশ্রুতি নয়। কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে হলে, সেটারও বিস্তারিত হিসাব দিতে হবে। এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না, যা আর্থিকভাবে বিপদ ডেকে আনতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিশ্রুতি দিলেও কীভাবে সেটা বাস্তবায়িত হবে, কোন খাত থেকে টাকা আসবে, সরকার গঠিত হলে আয়ব্যয়ের কী হিসাব হবে, সব হলফনামা আকারে প্রকাশ করতে হবে। এই প্রস্তাবনার বিরোধিতা করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী যেটা বলছেন নির্বাচন কমিশন সেটাই করছে। সংবিধান মতে দেশের সবচেয়ে নিরপেক্ষ সংস্থাগুলির মধ্যে একটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে এই ধারণা বদলে যায়।” অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশন যেটা করতে চাইছে, সেটা তার কাজই নয়। এই নিয়ম মানলে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির ভুল ভাবনাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা ভারতীয় গণতন্ত্রের কফিনে পোঁতা আরও একটি পেরেক।” একইসঙ্গে আম আদমি পার্টি, আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলিও সরব হয়েছে এই নিয়ে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।