সন্তানের সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে খোদ ধৃতরাষ্ট্রকেও টেক্কা দিতে পারেন ইনি। বিয়ে করেছেন ১৫ জনকে। সন্তানের সংখ্যাও পেরিয়েছে ১০০। আর সবাইকে সঙ্গে নিয়েই দিব্যি ঘর করছেন এই প্রৌঢ়। কে এই ব্যক্তি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মহাভারতে বর্ণিত কুরুরাজ ধৃতরাষ্ট্রকেও যেন ছাড়িয়ে গিয়েছেন এই ব্যক্তি। তাঁকে শত পুত্রের জনক বললে ভুল বলা হবে। কারণ তাঁর মোট সন্তানের সংখ্যা ১০৭ জন। আর স্ত্রী? একজন দুজন নন, সব মিলিয়ে ১৫ জন স্ত্রীকে নিয়েই একসঙ্গে সংসার করছেন তিনি। যাকে বলে একান্নবর্তী পরিবার। তবুও সেই পরিবারে কোনও ঝগড়া বিবাদ নেই। বরং বেশ নিশ্চিন্তেই দিন কাটছে আফ্রিকার এই প্রৌঢ়ের। ছোট পরিবার নয়, বরং রীতিমতো বড় পরিবার হলেও এই পরিবারকে সুখী পরিবার বলতে মোটেও কোনও আপত্তি নেই তাঁর।
আরও শুনুন: জেলে কয়েদি হয়ে থাকার শখ? মাত্র ৫০০ টাকাতেই মিলবে সুযোগ
কিন্তু এত জনকে কেন বিয়ে করেছেন তিনি? সে প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন তিনি নিজেই। ডেভিড সাকায়া নামের ওই প্রৌঢ় মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাইবেলে বর্ণিত সলোমন নামে এক রাজার কথা। তিনি নাকি বিয়ে করেছিলেন প্রায় ৭০০ জন মহিলাকে। একইসঙ্গে প্রায় ৩০০ জন রক্ষিতাও ছিল তাঁর। এই রাজাকেই নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে মনে করেন ওই প্রৌঢ়। তাই বয়স ৬১ হলেও আগামী দিনে আরও কয়েকটি বিয়ে করতে আপত্তি নেই তাঁর। তবে হ্যাঁ, শুধুমাত্র এই রাজার অনুপ্রেরণাতেই নয়। তাঁর কাছে আরও এক অদ্ভুত কারণ আছে এতগুলি বিয়ে করার। তিনি মনে করেন তাঁর বুদ্ধির পরিমাণ সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি। সেই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কোনও একজন নারীর পক্ষে সম্ভব নয়। আর সেই কারণেই ১৫ জনকে বিয়ে করতে হয়েছে তাঁকে, এমনটাই জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে এতজন স্ত্রীয়ের মধ্যে যে কোনও বিবাদ বিসংবাদ নেই, উলটে তাঁরা যে সুখে শান্তিতে মিলেমিশেই রয়েছেন, তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নিজেই দাবি করে থাকেন ডেভিড। অবশ্য তাঁরই সুরে সুর মিলিয়েছেন তাঁর স্ত্রীরাও। তাঁদের মতে, সতিনের প্রতি কোনও হিংসা অনুভব করেন না তাঁরা। উলটে ডেভিড নতুন কোনও স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে এলে তাঁরা সাদরে বরণ করে নেন। ডেভিড নাকি এতটাই কর্তব্যপরায়ণ পুরুষ যে আলাদা করে তাঁর প্রতি কোনও অভিযোগ করার অবকাশ থাকে না, এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর এক স্ত্রী। আর তাই একাধিক স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছে ওই ব্যক্তির।