গরবা নাচের মণ্ডপ থেকে গ্রেপ্তার সাত মুসলিম ব্যক্তি। হিন্দু নামের আড়াল নিয়ে নাচের আসরে ঢুকে তারা মেয়েদের ছবি তুলছিল, এমন অভিযোগে সরব হয়েছে বজরং দল। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
নবরাত্রি চলাকালীন গরবা অনুষ্ঠানগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছেন বজরং দলের কর্মীরা। আর সেইভাবেই সম্প্রতি ইন্দোর শহরের এক গরবা নাচের আসর থেকে সাত মুসলিম ব্যক্তিকে তাঁরা আটক করেছেন বলে খবর। অভিযোগ, মিথ্যে নাম বলে হিন্দু সাজার ভান করে নাচের মণ্ডপে ঢুকে পড়েছিল তারা। এমনকি নাচের আসরে মেয়েদের ছবি তোলারও চেষ্টা করেছে তারা, অভিযোগ এমনটাই। শেষ পর্যন্ত ইন্দোর পুলিশ ওই সাতজনকেই গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর।
আরও শুনুন: একটি বানান ভুলের ‘অপরাধে’ দলিত ছাত্রকে বেধড়ক মার, কিশোরের মৃত্যুতে বিক্ষোভ যোগীরাজ্যে
এমনিতেই হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই ধরনের হিন্দু অনুষ্ঠানে কোনও মুসলিমের আসার কথা নয়। আর যদি কেউ এসে থাকে, তবে তার কোনও অসৎ উদ্দেশ্য থাকবেই, এমনটাই ধারণা হিন্দুত্ববাদীদের। আর সেই অসৎ উদ্দেশ্য আর কিছুই নয়, ‘লাভ জিহাদ’-এর বিস্তার। তাঁদের জোর দাবি, আসলে হিন্দু মেয়েদের ভুলিয়েভালিয়ে বিয়ে করতে চায় মুসলিম ধর্মাবলম্বী পুরুষেরা। তারপর জোর করে মেয়েটির ধর্মান্তর করে এবং তার গর্ভে একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়ে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য। এই ইস্যু টেনেই কিছুদিন আগেই গরবা নাচের মণ্ডপগুলিকে লাভ জিহাদের আখড়া বলে অভিহিত করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ তথা সংস্কৃতি মন্ত্রী ঊষা ঠাকুর। এমনকি নবরাত্রির উৎসবে গরবা নাচতে গেলে দেখাতে হবে পরিচয়পত্র, এমন নিদানও দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের ওই নেত্রী। ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে হবে, এই দাবিতে এবার নবরাত্রির আগে থেকেই সরব হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। আর সেই কারণেই এই সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে গরবা নাচের আসরগুলি বসে, সেদিকে বিশেষভাবে নজরদারি চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। সম্প্রতি গুজরাটের আমেদাবাদ এলাকাতেও গরবা অনুষ্ঠানে ঢুকতে চাওয়া এক মুসলিম ব্যক্তিকে বজরং দলের কর্মীরা বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। আর সেই একই দিনে প্রায় অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরেও। আটক সাত ব্যক্তির কেউই পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির। নবরাত্রি উপলক্ষে আগামী দিনেও এই নজরদারি চলবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।