পরিবেশ রক্ষা করার জন্য যৌন ধর্মঘটের ডাক দিল পশুপ্রেমী সংগঠন পেটা (PETA)। এই মর্মে মহিলাদের কাছেই আবেদন জানিয়েছে সংস্থাটি, যাতে তাঁরা এক বিশেষ শ্রেণির পুরুষের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত না হন। আর সেই আরজি ঘিরেই সরগরম নেটদুনিয়া। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
খাদ্যাভ্যাস না পালটালে যৌনতার পথেও কাঁটা। এই মর্মেই পরোক্ষে পুরুষদের হুঁশিয়ারি দিল পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস তথা পেটা। সরাসরি মহিলাদের কাছেই তারা আরজি জানিয়েছে, যাতে এক বিশেষ শ্রেণির পুরুষের সঙ্গে তাঁরা যৌন সংসর্গে লিপ্ত না হন। ওই পুরুষেরা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতির জন্য দায়ী, তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে পশুপ্রেমী সংগঠনটি। আর সেই কারণেই এবার তাঁদের ক্ষেত্রে যৌন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পেটা।
আরও শুনুন: ধর্মান্তরিত না হলে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, মুসলিম মহিলার বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’-এর অভিযোগ যোগীরাজ্যে
আসলে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষেরা মহিলাদের তুলনায় বেশি মাংস খান। তার প্রভাব পড়ে জলবায়ুর উপর। পেটার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য জানিয়েছে, প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় বেশি দায়ী। এর কারণ তাঁরা বেশি মাংস খান। তাঁদের এই খাদ্যাভাসের কারণেই পরিবেশে ৪১ শতাংশ বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস তৈরি হয়। একটি সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক ক্যারিস বেনেট-ও বলেছেন, গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় বেশি কার্বন তৈরি করেন, কারণ তাঁরা বেশি মাংস খান। এই প্রসঙ্গে পেটার জার্মানি দপ্তরের অধিকর্তা ড্যানিয়েল কক্স আরও বলেছেন, “মদের বোতল আর বারবিকিউ-এর কাঁটা ধরা সেইসব পুরুষদের কে না চেনেন? এই ‘গ্রিল মাস্টার’-রা মনে করেন মাংস খেয়েই তাঁদের পৌরুষের প্রমাণ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু তাঁরা যে কেবল পশুদের ক্ষতি করেন এমনটা নয়, পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি করছেন এই শ্রেণির পুরুষেরা। আর সেই ক্ষতি রোধ করতেই বিশ্বজুড়ে মহিলাদের কাছে এহেন সেক্স স্ট্রাইক তথা যৌন ধর্মঘটের আবেদন রেখেছে পেটা।
আরও শুনুন: ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাওয়াই ‘অপরাধ’, মুসলমান পরিবারকে একঘরে করল গুজরাটের গ্রাম
যদিও পেটার এই দাবি ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। অনেকেই এহেন বক্তব্যকে একপেশে বলে চিহ্নিত করেছেন। কেউ কেউ উলটে এ কথাও বলেছেন যে, মাংস খান এমন মহিলার সংখ্যাও তো কম নয়। সেক্ষেত্রে পুরুষেরাও যদি একইভাবে যৌন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বসেন, সেক্ষেত্রে বিষয়টি কী দাঁড়াবে? কেউ আবার এই আরজিকে উড়িয়ে দিয়ে অন্য কোনও মাংসাশী পুরুষের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ানো এবং আরও বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে পেটার এই দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা।