স্কুলের শৌচাগারেই ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’-এর শিকার হয়েছে এক ছাত্রী, এমন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নয়ডার একটি স্কুলে। অভিযোগ দায়ের করেছেন চার বছর বয়সের এক ছাত্রীর মা। কী দাবি করেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
স্কুলের শৌচাগারেই এক পুরুষের যৌন লালসার শিকার হয়েছে একটি বালিকা। এমনই অভিযোগে সরগরম নয়ডার একটি স্কুল চত্বর। ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই চার বছরের বালিকার মা। মেয়ে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’-এর শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: ‘বন্ধু’ হওয়ার টোপ দিয়ে যৌনতার হাতছানি, বলিউডের কাস্টিং কাউচ নিয়ে বিস্ফোরক অভিনেত্রী
২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের নৃশংসতার প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে আসে এই ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ কথাটি। আইনি ভাবেই ঘোষণা করা হয়, পুং যৌনাঙ্গের বদলে অন্য কোনও বস্তু যদি কোনও মহিলার গোপনাঙ্গে প্রবেশ করানো হয় এবং তার সঙ্গে ওই পুরুষ বলপূর্বক যৌনতায় লিপ্ত হয়, তবে এই ঘটনাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ বলে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রেও এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে অভিযোগকারিণীর তরফে। ওই বালিকার মা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন স্কুলের ছুটির পর মেয়েকে আনতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময়েই মেয়েটি তাঁকে জানায় শারীরিক অস্বস্তির কথা। তাকে প্রশ্ন করে ওই মহিলা যা জানতে পারেন, তাতে চমকে যান তিনি। বালিকাটি দাবি করেছে, সে যখন স্কুলের শৌচালয়ে গিয়েছিল, তখন সেখানে আগে থেকেই একটি ছেলে উপস্থিত ছিল। সে তাকে স্পর্শ করেছে বলেও জানায় ওই ছাত্রী। আর এই কথা শোনার পরেই সেক্টর ৩৯-এর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন তার মা। জানা গিয়েছে, তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান পেনাল কোড মাফিক ধর্ষণের জন্য প্রযোজ্য ৩৭৬ ধারা এবং পকসো আইন মোতাবেক মামলা রুজু করেছে পুলিশ। প্রয়োজনীয় তদন্তও শুরু হয়েছে বলেই খবর। যদিও বালিকাটির প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে খবর পুলিশ সূত্রে। নয়ডা পুলিশের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার আশুতোষ দ্বিবেদি জানিয়েছেন, মেয়েটির শরীরে বাহ্যিক ভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এদিকে মেয়েটির আভ্যন্তরীণ কোনও পরীক্ষা করতে দিতেও নারাজ তার পরিবারের লোকজন। এই পরিস্থিতিতে কোন পথে এগোবে তদন্ত, সেদিকেই তাকিয়ে তদন্তকারীরা।