দাগি অপরাধী নিজেই উপস্থিত হয়েছে থানায়। তবে আত্মসমর্পণ করতে নয়। বরং তার উদ্দেশ্য পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়া। কী হল তারপর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কথায় বলে, পুলিশে ছুঁলে নাকি ছত্রিশ ঘা! সেই ভয়েই থানা-পুলিশের থেকে নিরাপদ দূরত্বই বজায় রাখতে চান আমজনতা। আর অপরাধী হলে তো কথাই নেই। পুলিশের ছায়াও মাড়ানোর কথা ভাবে না তারা কেউই। কিন্তু এই ব্যক্তিটি সেখানে রীতিমতো ব্যতিক্রম। পুলিশের কাছ থেকে দূরে থাকা দূরে থাক, উলটে সে নিজেই হাজির হয়েছে থানায়। তাও আবার পুলিশের চাকরির উদ্দেশ্য নিয়ে। আর সঙ্গে সঙ্গেই হাতে পড়েছে হাতকড়া। চাকরির বদলে কপালে জুটেছে গারদ। প্রায় ৭ বছর আগে করা এক অপরাধের জেরে এখন তার ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। হ্যাঁ, শুনতে যতই আশ্চর্য লাগুক, সত্যিই এমন আজব কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে সাউথ আফ্রিকার বাসিন্দা এই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: পুরনো প্রেমপত্রের দাম প্রায় ১০ লক্ষ! ইলন মাস্কের দেওয়া উপহার নিলামে তুললেন প্রাক্তন প্রেমিকা
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে এক অপরাধ করে বসেছিল বছর চল্লিশের টমাস কোবো নামের এই ব্যক্তি। তখন একটি ডেলিভারি সংস্থায় কাজ করত সে। একবার প্রায় ৯০ হাজার টাকার জিনিস সে অন্যত্র ডেলিভারি করে ফেলে। কিন্তু সেই ঘটনাটি ধরে ফেলেন ওই সংস্থার ম্যানেজার। পুলিশে খবর দেন তিনি। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে ধরা যায়নি। তদন্তকারী অফিসারের মতে, ৭ বছর আগেই সেই অপরাধে তার নামের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল ‘ওয়ান্টেড’ তকমা। অর্থাৎ পুলিশ খুঁজছিল তাকে। এদিকে সম্প্রতি পুলিশের চাকরিতে যোগদানের এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাউথ আফ্রিকার এক থানা। সেই বিজ্ঞাপন দেখে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য দরখাস্ত করে বসে টমাস। নিজের পুরনো অপরাধের কথা ভুলে সে হঠাৎ হাজির হয় থানায়। উদ্দেশ্য ছিল ওই প্রস্তাবিত চাকরিতে কবে নিয়োগ হবে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া। কিন্তু তার নাম দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। খোঁজ করতেই উঠে আসে তার অপরাধের ইতিহাস। বলাই বাহুল্য, এরপর ফেরারি আসামিটির ঠাঁই হয় গারদের ভিতরেই।
আরও শুনুন: ‘বিজেপিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন খোদ ঈশ্বর’, কংগ্রেস ছেড়ে সাফাই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
আইনের চোখে যে এই ব্যক্তি অপরাধী, সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এক অপরাধীর এহেন বোকামির পরিচয় পেয়ে রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন সকলেই। ইতিমধ্যেই টমাসকে পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা মানুষের তকমা দিয়ে ফেলেছে সে দেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি।