গাড়ির সিটে নয়, গাড়ির ডিকিতে তিন সন্তানকে বসিয়ে শহর ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হুলুস্থুল নেটদুনিয়ায়। এহেন হঠকারী আচরণের জন্য ওই ব্যক্তিকে তুলোধোনা করলেন নেটিজেনরা। শুনে নেওয়া যাক।
মালপত্তর রাখার জন্যই ব্যবহৃত হয় গাড়ির ডিকি। কখনও কখনও মজা করে তাতে বসেও পড়ে কেউ কেউ। কিন্তু কোনও মজা করার উদ্দেশ্যে নয়, সওয়ারি হিসেবেই তিনটি ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে গাড়ির ডিকিতে বসিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। আর হায়দরাবাদ শহরের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়।
আরও শুনুন: কোহিনূর হিরের আসল মালিক প্রভু জগন্নাথ! পুরীর মন্দিরে রত্ন ফেরতের দাবিতে সরব সংগঠন
সোচো জারা নামের একটি পেজ থেকে টুইটারে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল ওই ঘটনার ভিডিও। ভিডিওটি থেকে আন্দাজ করে নেওয়া যাচ্ছে, গাড়িটির ভেতরে ঠাসা যাত্রী রয়েছে। গাড়িটির সামনের এবং পিছনের সব সিটই ভর্তি। ফলে আন্দাজ করা যায়, গাড়িটির ভিতরে আর জায়গা হয়নি বলেই ডিকিতে বসানো হয়েছে ওই বাচ্চাদের। তাদের বয়স দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বলেই আন্দাজ করেছেন নেটিজেনরা। দেখা যাচ্ছে, রাস্তার দিকে মুখ করেই গাড়ির ডিকিতে বসে রয়েছে তারা তিনজন। আর তাদের এই অবস্থা দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনরা। পরিবারের লোকজন কীভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করতে পারে, এই প্রশ্নই তুলেছেন তাঁরা। ব্যস্ত রাস্তায় চলন্ত গাড়িতে কেউ এভাবে বসলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনও সময়েই। পিছন থেকে কোনও গাড়ি এসে ধাক্কা দিলে সবার আগে ক্ষতি হবে ওই বাচ্চাদেরই। তা ছাড়া হঠাৎ ব্রেক কষলে বা অন্য কোনওভাবে গাড়ি থেকে পড়েও যেতে পারে তারা। এইসব আশঙ্কা করেই ওই গাড়ির চালককে কার্যত তুলোধোনা করেছেন নেটিজেনরা। এক ব্যক্তি সরাসরি তেলেঙ্গানা পুলিশ, হায়দরাবাদ পুলিশ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধও জানিয়েছেন। তাঁর এই আরজির উত্তরও দিয়েছে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশ দপ্তর। ভিডিও থেকে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল। ফলে সেই নম্বরটিতে ই-চালান ইস্যু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ভিডিওর পোস্টকর্তাকে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। বস্তুত ২০১৯ সালের মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট মোতাবেক নিয়ম, একটি গাড়ি যে কজনের বসার জন্য তৈরি, তার বেশি যাত্রী গাড়িতে তোলা বেআইনি। সুতরাং ওই চালকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হোক, এমন দাবিতেই সোচ্চার হয়েছেন নেটিজেনরা।