৫ পুলিশকর্মীকে ঢোকানো হয়েছে গারদে। তাও আবার ঊর্ধ্বতন অফিসারের নির্দেশেই। হঠাৎই তাঁদের উপর রেগে গিয়ে এমন আদেশ দিয়েছেন থানার এক পুলিশ সুপারিনটেন্ডেট। কী অপরাধ করেছেন তাঁরা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
কোনও দাগি আসামি নয়। গারদে ভরা হয়েছে খোদ পুলিশকর্মীদেরই। আর সে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁদেরই এক ঊর্ধ্বতন অফিসার। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক সিসিটিভি ফুটেজের সূত্রে ধরা পড়েছে এমনই দৃশ্য। সাধারণত অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশদেরও ঢুকতে হয় গারদে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁদেরকেই অপরাধী হিসেবে গারদে ঢোকানো হয়েছে। বিহারের নওয়াদ শহরের এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
আরও শুনুন: বেজায় সুন্দরী বলেই আটক করেছে পুলিশ, মহিলার অদ্ভুত দাবিতে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের
জানা গিয়েছে, ওই থানাটির পুলিশ সুপারিনটেন্ডেট গৌরব মাঙ্গলা নাকি রেগে গিয়ে নিজের অধঃস্তন কিছু পুলিশকর্মীকেই গারদে ভরার আদেশ দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনার দিন বিশেষ কিছু কেস নিয়ে আলোচনা করার জন্য ৫ জন পুলিশকর্মীকে ডেকে পাঠান গৌরব। এরপর কোনও অজ্ঞাত কারণে হঠাৎই সেই পুলিশকর্মীদের উপর ভয়ানক রেগে যান তিনি। কাজে গাফিলতির অভিযোগ এনে তাঁদের গারদে ঢোকানোর নির্দেশ দেন। কথামতো কাজও হয়। ৫ জন কর্মীকে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় গারদে। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে। যদিও এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছেন ওই পুলিশ সুপার। প্রাথমিক ভাবে তাঁর দাবি ছিল এমন কিছুই ঘটেনি। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে। তারপরই প্রকাশ্যে আসে থানার সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় সম্পূর্ণ ঘটনাটি।
আরও শুনুন: নৃশংসতার নজির, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন দলিত শিশুর গায়ে গরম খাবার ঢেলে দিলেন শিক্ষক
গৌরবের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় সিং। ঘটনাটি জানতে পেরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিহারের চিফ সেক্রেটারিও। ঊর্ধ্বতন কর্মীরা যাতে অধঃস্তন কর্মীদের সঙ্গে সংযত আচরণ করেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন চিফ সেক্রেটারি।