আদালতে বড় স্বস্তি অনুব্রতের। পুলিশের জালে বাগুইআটি কাণ্ডের মূল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরী। সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় আপাতত স্বস্তি তৃণমূলের ১৯ নেতানেত্রীর। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণে জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতের। স্থগিত অনুদান সংক্রান্ত মামলার রায়দান। প্রেসিডেন্সির সুপারের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল-সহ দশ অভিযুক্ত। শুক্রবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত তাঁকে মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস ঘোষণা করল। এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত সন্দেহে আসানসোল জেলে বন্দি। আজই তাঁকে বিধাননগরের আদালতে পেশ করা হয়। অনুব্রতর আইনজীবী সৌভিক বসু এদিন জানান, ”আজ আমার মক্কেল অনুব্রত মণ্ডল এবং আরও কয়েকজন অভিযুক্তকে আদালত বেকসুর খালাস করেছে। মঙ্গলকোট হিংসা মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবীরা।” আদালত থেকে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, “আমাদের বেকসুর খালাস করল আদালত। সত্যের জয় হল। এটা ২০১০ সালের কেস। আমার ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছিল। আজ মহামান্য আদালতে রায়ে আমরা বেকসুর খালাস পেলাম।” আদালতের রায়ে আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ল তাঁর শরীরী ভাষায়। গরুপাচার মামলা নিয়েও একই রকম আশাবাদী অনুব্রত। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের কালী প্রতিমার গয়নার দিকে এবার নজর দিল সিবিআই। বোলপুর তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে প্রতি বছর ধুমধাম করে কালীপুজো করতেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। কোটি কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কারে প্রতিমাকে তিনি সাজাতেন নিজের হাতে। সিবিআইয়ের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, ৫৭০ ভরি সোনার গয়না পরানো হত। যা প্রায় সাড়ে ছ কেজি সোনা, বাজারমূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার বোলপুরের অস্থায়ী শিবিরে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ছ’জন ব্যাংক কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। পরে নথি সংগ্রহের জন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে যান আধিকারিকেরা।
2. অবশেষে গ্রেপ্তার বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার থেকে বাগুইআটির ২ স্কুল ছাত্র খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাগুইআটি। কিন্তু অভিযুক্তের হদিশ মিলছিল না। তাকে খুঁজে পেতে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেট ও সিআইডি। গোপন সূত্র মারফত তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশনে আসবে সত্যেন্দ্র। সেই মতো নজরদারি চালায় পুলিশ। হাওড়া স্টেশনে পা দেওয়া মাত্রই সত্যেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, আদতে বিহারের বাসিন্দা সত্যেন্দ্রর পরিকল্পনা ছিল হাওড়া থেকে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার। গ্রেপ্তারের পর বিধাননগর কমিশনারেটে নিয়ে আসা হয় তাকে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা। সত্যেন্দ্রকে গ্রেপ্তারির খবর শোনার পর অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন অতনুর মা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “অতনুকে খুন করেই গা ঢাকা দেয় সত্যেন্দ্র। তবে কলকাতাতেই ছিল সে। নজর রাখছিল পুলিশের গতিবিধির উপর। তল্লাশি দেখে বুঝতে পেরেছিল, লুকোনো সহজ হবে না। তাই হাওড়া থেকে পালানোর ছক কষে। তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিতে বারবার সিম কার্ডও পরিবর্তন করছিল সে। ফলে বারবার টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী তাকে ট্র্যাক করা একটু সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত পুলিশের জালে বাগুইআটি মামলার মূল অভিযুক্ত।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।