ক্লাস চলাকালীনই উঠেছিল প্রসববেদনা। স্কুলের শৌচাগারেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিল ১৬ বছরের কিশোরী। নিজের হাতেই কলম দিয়ে নাড়ি কেটে ফের ক্লাসে ফিরে গিয়েছিল সে। তামিলনাড়ুর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শুনে নেওয়া যাক।
স্কুলের ক্লাস চলার সময়ই সন্তানের জন্ম দিয়ে ফের ক্লাসে ফিরে গিয়েছিল কিশোরী। অবাঞ্ছিত এই সন্তানের কথা সকলের কাছ থেকে গোপন করতেই চেয়েছিল সে। কেবল স্কুলেই নয়, বাড়িতেও কাউকে সন্তানসম্ভাবনার কথা জানাবার সাহস পায়নি সে। ফলে প্রসবের সময়ের যা কিছু কাজ, তাও একাই সারতে হয়েছে তাকে। তাই নিজের হাতেই কলম দিয়ে সন্তানের নাড়ি কেটেছে সে, এমনটাই দাবি ওই কিশোরীর। ঘটনাচক্রে একটি মৃত শিশু প্রসব করেছিল সে। শিশুটির দেহ শৌচাগারের কাছেই ঝোপের মধ্যে পরিত্যাগ করেছিল ওই কিশোরী। সম্প্রতি এহেন ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর চিদাম্বরম এলাকায়।
আরও শুনুন: হিন্দু সেজে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে যুবতীকে, লাভ জিহাদের দায়ে যোগীরাজ্যে আটক ব্যক্তি
ওই এলাকার এক সরকারি স্কুলের শৌচাগারের কাছাকাছি একটি সদ্যোজাত শিশুর দেহ পাওয়া যায় সম্প্রতি। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছিল চাঞ্চল্য। নিয়ম মেনে খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনকেও। আর পুলিশি তদন্তের জেরেই অবশেষে প্রকাশ্যে এল শিশুটির মা এবং বাবার পরিচয়। তারা আত্মগোপন করতে চাইলেও শেষরক্ষা হল না শেষ পর্যন্ত। শিশুর দেহ মেলার চারদিন পরে পুলিশ জানতে পারে, শিশুটির জন্ম দিয়েছে ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। সে স্বীকার করেছে, স্কুলে ক্লাস করার সময়েই প্রসববেদনা উঠেছিল তার। উপায় না দেখে স্কুলের শৌচাগারে যায় সে। আর সেখানেই প্রসব হয় তার। কিশোরীটিকে জেরা করেই শেষমেশ জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের ওই কিশোরীর প্রেমিক দশম শ্রেণির এক ছাত্র। সে অবশ্য ওই সরকারি স্কুলে নয়, গ্রামের এক বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া। তার ঔরসেই শিশুটির জন্ম বলে জানা গিয়েছে। পকসো আইন মোতাবেক মামলা রুজু হয়েছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। এদিকে কিশোরীটিকে আপাতত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একা একা সন্তান প্রসব করতে যাওয়ার ফলেই মৃত শিশু প্রসব করেছে সে, প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পরে দুই পড়ুয়ার পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই।