বিগ ফ্যাট ওয়েডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে যেটা না হলেই নয়, তা হল একটা অভাবনীয় সুন্দর জায়গায় হানিমুন। ইদানীং তো ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের চল। এমন সুন্দর সুন্দর জায়গায় বিয়ের আসর বসে, যে দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটা জমাটি মধুচন্দ্রিমা না-হলে চলে নাকি। আর এ ব্যপারে পথ দেখাচ্ছে বলিউডই। বলিউড পাওয়ার-কাপলদের পছন্দের হানিমুন স্পটের হালহদিশ জানতে চান। আসুন, সেই গল্পই শোনাই আপনাদের।
বলিউড যেন গোটা একটা বিশ্ব। বি-টাউনের তারকারা কী করেন, কী খান, কোথায় যান- সবটুকু জানতে উদগ্রীব দর্শক। বলিউডে বিয়ে মানেই তার তত্ত্বতালাশ জানতে আগ্রহের শেষ নেই মানুষের। অতিথি তালিকা থেকে শুরু করে ভূরিভোজের মেনু, গায়ে হলুদের পোশাক থেকে রিসেপশনের শেরওয়ানি-লহেঙ্গা, এমনকী বিয়েতে পাওয়া উপহার নিয়েও সবটুকু জানতে চান ফ্যানেরা। তবে মধুচন্দ্রিমার লোকেশন নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তো থাকবেই। আসুন, শুনে নেওয়া যাক বলিউড পাওয়ার কাপলদের প্রিয় হানিমুন লোকেশন ছিল কোন কোন জায়গা।
আরও শুনুন: ‘সত্য’ ছবির পরে গ্যাংস্টারদের কব্জায় অনুরাগ কাশ্যপ, অপহরণ করা হয়েছিল পরিচালককে
আর সেই গল্প শুরু করব বলিউডের বেতাজ বাদশা শাহরুখ খানকে দিয়েই। তিনি প্রেমের ঈশ্বর। বলিউডের আদর্শ স্বামী আখ্যা যদি কেউ পেতে পারেন, সেই খেতাবও যাবে তাঁর মাথাতেই। গৌরী খানের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গল্প তো সর্বজনবিদিত। ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর গৌরীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শাহরুখ। আর রোম্যান্স কিংয়ের স্বপ্ন ছিল, তাঁরা হানিমুন করতে যাবেন প্যারিসে। যে শহরটি প্রেম এবং রোম্যান্সের স্বর্গ নামেই বেশি পরিচিত। তবে সেসময় সবে সবে কেরিয়ার শুরু করেছেন শাহরুখ। ইচ্ছে থাকলেও প্যারিস যাওয়ার সামর্থ ছিল না তাঁর। গৌরীকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ে। অবশ্য তাঁদের প্রেমের সৌরভে দার্জিলিংই হয়ে উঠেছিল স্বপ্নের প্যারিস।
এরপর আসা যাক অনুষ্কা শর্মা আর বিরাট কোহলীর কথায়। একজন বাইশ গজের সম্রাট, অন্যজন বলিউডের প্রিয় মুখ। পতৌদি-শর্মিলার পরে দুই দুনিয়ার এমন মহামিলন বোধহয় মনে পড়ে না। বিরুষ্কা হানিমুনে গিয়েছিলেন ফিনল্যান্ডে। প্রাকৃতিক সম্পদে ঠাসা ফিনল্যান্ড যেমন সুন্দর, তেমনি রোম্যান্টিক। তিন নম্বরে রয়েছেন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই এবং অভিষেক বচ্চন। ২০০৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। তাঁরা মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন ইউরোপে। সেখানেই একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু ভাল মুহূর্ত কাটান তাঁরা।
করিনা কাপুর খান এবং সইফ আলি খান হানিমুন করতে গিয়েছিলেন সুইস আল্পসের গিস্তাদ নামের একটি ছোট্ট গ্রামে। সেই অঞ্চলের একটি অনবদ্য স্কাই রিসর্টে ছিলেন তাঁরা। ম্যাডোনা থেকে যুবরানী ডায়না, কত স্বনামধন্য লোকের যে পা পড়েছে সেই গ্রামে, তার ইয়ত্তা নেই।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা শহিদ কাপূর ও তাঁর স্ত্রী মীরা রাজপুর হানিমুন সেরেছেন লন্ডনে। ২০১৫-য় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তাঁদের মধুচন্দ্রিমা সফর স্বপ্নের চেয়ে কম কিছু ছিল না। বলিউডের স্বপ্নসুন্দরী মাধুরী দীক্ষিত তাঁর হানিমুন সেরেছিলেন হাওয়াইয়ে। ডক্টর শ্রীরাম নেনের সঙ্গে বিয়ের পর সেখানেই যান মাধুরী।ঋতেশ দেশমুখ ও জেনেলিয়া ডিসুজা হানিমুন সারেন বিশাখাপত্তনম। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় হানিমুন ডেস্টিনেশন এটি।
আরও শুনুন: ৫ লক্ষ কৃষক দিলেন ২ টাকা করে, তৈরি হল দেশের প্রথম ‘ক্রাউড-ফান্ডেড’ সিনেমা
২০১২ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বিদ্যা বালন ও সিদ্ধার্থ রায় কপূর। মধুচন্দ্রিমা করতে তাঁরা গিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। সুনীল সাগর আর সৈকতের সূর্যাস্ত যাঁদের পছন্দ, তাঁদের জন্য পারফেক্ট হানিমুন লোকেশন হতেই পারে এটি। শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রা হানিমুন সেরেছেন বাহামাসে। টেনিস তারকা মহেশ ভূপতি ও প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী লারা দত্ত এদিকে হানিমুনের জন্য গিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে স্থানীয় সংস্কৃতি, সব দিক থেকেই দারুণ এই বালি। তার সঙ্গে উপরি পাওনা দারুণ সব সমুদ্র সৈকত।
আপনারও যদি মধুচন্দ্রিমার জন্য পছন্দ হয় এসব এক্সোটিক লোকেশন, তাহলে বি-টাউনের তারকাদের মতোই আপনিও ঘুরে আসতে পারেন, এমনই সব অপূর্ব জায়গা থেকে। তবে পকেটের কথাটা ভাবতে ভুলবেন না মোটেই।