‘মৌচাক’ ছবির সেই দৃশ্যটা মনে আছে? যেখানে বাঘ আর ছাগলের মুখোশ পরে বাবার নজর এড়িয়েছিলেন ছবির নায়ক-নায়িকা। এ যেন অনেকটা তেমনই। তবে মুখোশ নয়। পাড়া-পড়শি, চেনা-পরিচিতের নজর এড়াতে বোরখা পরে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। আর তাতেই হল সর্বনাশ! শেষমেশ যুবকের ঠাঁই হল শ্রীঘরে। আসুন শুনে নেওয়া যাক সেই গল্প।
দিন কয়েক আগেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কর্ণাটক। তবে এবার খোদ যোগীরাজ্য জলঘোলা হল বোরখা নিয়ে। তবে এবারের ঘটনাটা কিন্তু বেশ মজার। প্রেমে পড়ে মানুষ কত কিছুই তো করে। কেউ সাঁতরে সাগর পেরোয়, কেউ বা ডিঙায় পাহাড়। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য এসব দুঃসাহসিক কাজকর্মের মুখে এই যুবক যা করেছে, তা নেহাতই সামান্য। তবে তার মাশুল যে এভাবে গুনতে হতে পারে, তা বোধহয় আন্দাজ করা কঠিন।
আরও শুনুন: ক্যামিওতে কামাল! ছবিতে অতিথি হয়েও ভক্তদের মন জিতেছিলেন কিং খান
পাড়া-পড়শি, চেনা-পরিচিতদের নজর এড়িয়ে নিজের গোপন প্রেমকে গোপনই রাখতে চেয়েছিলেন যুবক। তবে ওই যে ‘গোপনে প্রেম রয় না ঘরে’। ফলে তাঁর এই গোপন কথাও বেশিক্ষণ গোপন রইল না। তবে তার জন্য কম কাঠখড় পোড়াননি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা বছর পঁচিশের সইফ আলি। প্রেমের কথা যাতে পাঁচকান না হয়, তার জন্য প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বোরখা পরে। তবে তাতেও শেষরক্ষা হল না। সম্প্রতি প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে মহম্মদপুরে আসেন সইফ। পরনে ছিল বোরখা। ভেবেছিলেন, চেনা-পরিচিতর নজর থেকে বাঁচতে দিব্যি কাজে লাগবে সিনেমায় দেখা এই অব্যর্থ টোটকাটি। তবে ফল হল উল্টো।
মহম্মদপুরে গিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই ধরা পড়ে গেলেন সইফ। বোরখা দেখে সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় লোকজনের। তারপরেই সইফকে বোরখা সরাতে বলেন তাঁরা। বোরখার নিচে মেয়ের পরিবর্তে ছেলেকে দেখে তাঁদের সন্দেহ সপ্তমে পৌঁছয়। দেরি না করে পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে সইফকে। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগও এনেছে পুলিশ। শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে সইফকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
আরও শুনুন: জরুরি দরকার! ‘ফোন করে’ পুলিশকে তলব বাঁদরছানার, তারপর?
জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, চার বছর ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অভিযুক্তের। সেই প্রেমিকার পরামর্শেই বোরখা পরে দেখা করতে আসতেন ওই যুবক। তবে সইফকে গ্রেপ্তারির ব্যাপারটাকে মোটেও ভাল চোখে নেননি নেটিজেনরা। তার উপরে যুবকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা-ও অমূলক বলে মনে করেছেন অনেককে। সব মিলিয়ে বিষয়টিকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড হিসেবেই দেখেছেন নেটিজেনরা।