911-এ ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ছুটেছিলেন পুলিশকর্মীরা। তবে ফোনে ও-প্রান্ত থেকে কথা বলেনি কেউ! এদিকে লোকেশন দেখাচ্ছে চিড়িয়াখানার। কোনও বাচ্চা বিপদে পড়েনি তো! এইসব সাত-পাঁচ ভাবনা নিয়েই চিড়িয়াখানার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশবাহিনী। তবে গিয়ে যা দেখলেন, তাতে বিস্ময়ের অবধি রইল না পুলিশের। এমন কী দেখলেন তাঁরা সেখানে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
চিড়িয়াখানা মানেই তো দর্শক-পর্যটকদের ভিড়। আর সেই দর্শকদের মধ্যে ছোটদের সংখ্যাই বেশি। শনিবার রাতে চিড়িয়াখানা থেকে 911-এ ফোন পেয়ে একটু দুশ্চিন্তাতেই পড়ে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। তবে কি কেউ আটকা পড়ে গিয়েছে চিড়িয়াখানার ভিতরে? নাকি অন্য কিছু! ওই নম্বরে বারকতক ফোনও করে পুলিশ। তবে কেউ ধরেনি ফোন! নানাধরনের অপরাধমূলক কাজকর্মের কথা ভাবতে ভাবতেই চিড়িয়াখানার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ক্যালির্নিয়া সান লুইস ওবিস্পো এলাকার পুলিশ।
আরও শুনুন: কী গেরো! সহকর্মীর আলিঙ্গনে ভাঙল পাঁজরের হাড়, ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মহিলা
তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ যা দেখল , তাতে তাদের বিস্ময়ের বাকি রইল না। অন্য কেউ হলে, পুলিশের সময় নষ্ট করার জন্য তাকে ধরে জেলে পুরতেই পারত ক্যালিফর্নিয়ার পুলিশ। তবে তেমনটা করেননি তারা। করবেনই বা কী করে! ফোন করে যিনি পুলিশকে তলব করেছিল, সে তো আর কোনও মানুষ নয়। বরং ক্যাপুচিন বাঁদরের একটি ছানা। পাসকো রোবেলসের ওই চিড়িয়াখানার গল্ফ কার্টের কাছে একটি পরিত্যক্ত ফোন খুঁজে পায় রুট নামে ওই বাঁদরছানাটি। আর তার পরেই ঘটিয়ে ফেলে কাণডখানা। চিড়িয়াখানার কোনও কর্মী ভুল করে ফোনটি সেখানে ফেলে গিয়েছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও শুনুন: গোলাপি হ্রদের জলে বসে বাদ্যযন্ত্রে তুললেন সুর, শিল্পীর কীর্তিতে মুগ্ধ নেটদুনিয়া
এই ক্যাপুচিন প্রজাতির বাঁদরেরা সাধারণও খুবই ঔৎসুক প্রকৃতির হয়। কোনও একটা জিনিস খুঁজে পেলে সেটি ঘাঁটাঘাঁটি না করে শান্তি পায়না এরা। ফোনটি পেয়েও সেই স্বভাবের ব্যতিক্রম দেখা যায়নি রুটের ক্ষেত্রেও। কীভাবে যেন 911-এ নির্ভুল ভাবে ডায়েল করে বসেছিল সে। বাঁদরের বাঁদরামির কথা তো অনেক শুনেছেন। ক্যালিফর্নিয়া পুলিশ এবার তা-ই প্রত্যক্ষ করেছেন সচক্ষে। ফোন হাতে খুদে বানরটির বেশ কয়েকটি ছবিও তোলেন তাঁরা। যা শেরিফ অফিসের তরফে শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে বিস্তর মজা পেয়েছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারাও।