এক দেশে আছে আশ্চর্য এক হ্রদ। যেখানকার জল মোটেও সাধারণ নয়। সেই হ্রদের জলের রং মুগ্ধ করা গোলাপি। আর সেই আশ্চর্য হ্রদের বুকে বসে এক রাজকন্যা ভেজে চলেছেন আশ্চর্য এক সুর। আর সেই সুরের জাদুতে মশগুল গোটা দুনিয়া থুড়ি নেটদুনিয়া। কী ভাবছেন? এসব কোনও রূপকথার গল্প? মোটেও না। বরং নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তেমনই একটি আশ্চর্য ভিডিও।
“রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা, এমন কেন সত্যি হয় না আহা”- এ দৃশ্য দেখলে এমনটা মনে হবেই হবে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমনই একটি ভিডিও। যা দেখলে বিস্ময়ের সীমা থাকবে না। আশ্চর্য সুন্দর এক হ্রদের জলে বসে আশ্চর্য এক বাদ্যযন্ত্রে সুর তুলছেন এক রাজকন্যা। পোশাকও তেমনই রাজকীয় তাঁর। অনেকটা বীণার মতো দেখতে সেই বাদ্যযন্ত্রের নাম জানেন না অনেকেই। সুরটাও তেমন চেনা নয়। তবে সেই সমস্ত অজানাকে ম্যাজিকাল করে তোলা হয়েছে সেই ভিডিওয়। যা দেখে মজেছে গোটা নেটদুনিয়া।
আরও শুনুন: ছোট্ট ভুলে একটা বাড়ির বদলে গোটা এলাকা কিনে ফেললেন মহিলা, তারপর?
তবে সব চেয়ে আশ্চর্য করেছে যেটা, তা হল ওই হ্রদের জল। দেখে মনে হবে, কেউ যেন আলতা ঢেলে দিয়েছে হ্রদে। এমনই দুধে-আলতা রং সেই হ্রদের জল। কী ভাবছেন, এডিটিং অ্যাপের কামাল! এক্কেবারেই নয়। এই ভিডিও তোলা হয়েছে কাজিকিস্তানের লেক কোবিতুজে। সেখানেই ওই ভিডিওটি শুট করেন ২৩ বছরের স্থানীয় এক শিল্পী। আঞ্চলিক একটি বাদ্যযন্ত্রে ধরেছেন স্থানীয় সুর। আকাশের নীল আর হ্রদের গোলাপি, তার সঙ্গে ওই শিল্পীর অপূর্ব পরিবেশন। সব মিলিয়ে বদলে দিয়েছিল পরিবেশ। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য নেটবাসী।
আরও শুনুন: প্রকৃতির টানে নয়, বিখ্যাত মানুষের সমাধি দেখতেই বিশ্বভ্রমণে ব্যক্তি
আলাদা করে ওই হ্রদের জলে রং ঢালা হয়েছে ভাবলে কিন্তু ভুল হবে। হলোফিলিক মাইক্রোঅ্যালগি নামে ওই হ্রদের তলায় থাকা এক বিশেষ ধরনের জলজ উদ্ভিদের সঙ্গে লবণাক্ত জলের রাসায়নিক বিক্রিয়াই আসলে দায়ী ওই রঙের জন্য। তেমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। কাজিকস্তানের ওই গোলাপী হ্রদ দেখতে দেশবিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। আর সেই হ্রদে বসেই সুরের মালা গেঁথেছেন স্থানীয় এক শিল্পী। তাঁর সুরের জাদু তো রয়েছেন, আর তাতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে আশ্চর্য ওই পরিবেশ। সব মিলিয়ে তাকে স্বর্গীয় বললেও কম বলা হয়, তেমনটাই জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় দারুণ ভাইরাল সেই ভিডিও। সেই ম্যাজিককে পছন্দ করেছেন অসংখ্য নেটিজেনরা। কেউ কেউ তো নিজেদের বাকেট লিস্টে ঢুকিয়েও ফেলেছেন পৃথিবীর এই আশ্চর্য সুন্দর হ্রদটিকে।