কেউ বলত বাবল গাম তো কেউ চুইং গাম। মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে দিত সে মুখের ভিতরে। ছোটবেলায় এসব চুইং গাম চিবিয়ে চিবিয়ে বেলুন বানানোর নেশা ছিল অনেকেরই। কার বেলুন কত বড় হল, তা ছিল রীতিমতো প্রতিযোগীতার বিষয়। তবে ছোটবেলার সেই মজার কাণ্ডকারখানা যে বড়বেলায় খুলে দিতে পারে উপার্জনের পথ, তা কি ভেবেছেন কখনও? তবে সেই কাজটাই করে দেখিয়ে দিয়েছেন এই তরুণী। শুধুমাত্র চুইং গাম ফুলিয়ে তিনি মাসে উপার্জন করেন ৬৭ হাজার টাকার কাছাকাছি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক তাঁর গল্প।
নয় নয় করেও মাস গেলে ৬৭ হাজার টাকা আয় করেন তরুণী। তা-ও আবার শুধুমাত্র চুইং গাম ফুলিয়ে! শুনতে অবাক লাগলেও তেমন কাজই করে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। ছোটবেলায় অনেকেই ভালবাসতেন চুইং গাম ফোলাতে। তবে তা থেকে যে আয় সম্ভব, তা বোধহয় কস্মিন কালেও ভাবতে পারেননি কেউ! আর সেই অসম্ভবই সম্ভব করে ফেলেছেন জার্মানির বাসিন্দা জুলিয়া ফোরাট।
আরও শুনুন: পাঁচ বছর ধরে থামছেই না বাতকর্ম, খাবারের দোকানের কাছে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি ব্যক্তির
কত লোকেরই তো কত রকমের প্রতিভা থাকে। কেউ ভাল গাইতে পারেন তো কেউ ভাল আঁকতে। কেউ আবার হাতের কাজে ভাল। জুলিয়া ছোট থেকেই চুইংগাম ফোলাতে পারতেন দক্ষ ভাবে। বন্ধুরা অনেকেই মজা করে বলত, পেশা হিসেবে নিতে কাজটাকে। আর সেই কথাটাই জুলিয়ার জীবনে ফলে গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে। চুইংগাম ফুলিয়েই বিপুল পরিমাণ আয় করে চলেছেন তরুণী প্রতিমাসে।
নিজের মাথার থেকেও নাকি বড় বড় আকারের চুইংগাম ফোলাতে পারেন জুলিয়া। যা ফোলাতে তাঁর লাগে অন্তত ৩০টি চুইংগাম। সেই সবকটি একসঙ্গে চিবিয়ে ওই বিরাট আকারের বেলুন তৈরি করেন জুলিয়া। মাসে চুইং গাম কিনতে তাঁর খরচ হয় ৪৮০ টাকা কাছাকাছি। আর চুইং গাম ফুলিয়ে আয় হয় ৬৭ হাজার টাকারও বেশি। মানে খরচের চেয়েও কয়েকগুণ মুনাফা করেন জুলিয়া তাঁর এই অভিনব ব্যবসা থেকে। বহু বাঘা বাঘা লোকই সারা মাস খেটেও ওই পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন না, যা নির্দ্বিধায় করে ফেলেছেন ওই তরুণী।
আরও শুনুন: পোষা মোরগের শ্রাদ্ধ করলেন মালিক, ভোজ খেলেন ৫০০ গ্রামবাসী
নিশ্চয়ই ভাবছেন, চুইংগাম ফুলিয়ে কী ভাবে আয় হওয়া সম্ভব? আসলে চুইংগাম ফোলানোর মুহূর্তগুলি ভিডিও রেকর্ড করেন জুলিয়া। আর সেই ভিডিও বেচে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া স্টার হিসেবে দিব্যি জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছেন জুলিয়া। নানা আকারের নানা ধরনের চুইংগাম বেলুন বানাতে জুড়ি মেলা ভার তাঁর। সেই সব ভিডিও দেখতে ভালবাসেন অসংখ্য নেটনাগরিকেরা। লাইক আর কমেন্টে ভরে ওঠে সেসব পোস্ট।
এক বন্ধুর কথাতেই এমন ভিডিও বানাতে শুরু করেছিলেন জুলিয়া। আর তা-ই যে ঘুরিয়ে দেবে তাঁর ভাগ্যের চাকা, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি জার্মানির এই তরুণী। মার্কেটিং জগতে থাকার পাশাপাশি মডেলিংও করেন জুলিয়া। তবে সেসবের সঙ্গেই চলে তাঁর এই অদ্ভুত প্রতিভার প্রদর্শন। অনেকেই আসেন জুলিয়ার এই আশ্চর্য কেরামতির ভিডিও করতে। সেই ভিডিও অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেন তিনি। সামান্য অর্থ ব্যায় করে যে এমন বিপুল পরিমাণ রোজগার সম্ভব, তা প্রমাণ করে ছেড়েছেন বছর তিরিশের এই তরুণী।