SSC ও TET দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যজুড়ে অভিযান ইডির। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে টুইটে খোঁচা বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভার। বিষমদ কাণ্ডে রণক্ষেত্র হাওড়া। ‘অগ্নিপথ’ তাণ্ডবে রেলের ক্ষতি ২৫৯ কোটি টাকা। নিম্নমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। ময়দানের তিন প্রধানকেই ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদানের সিদ্ধান্ত সরকারের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 21 জুলাই 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘বিজেপির কারাগার’ ভাঙার ডাক, একুশের মঞ্চ থেকেই চব্বিশে চোখ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. শুক্রবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১৩ জায়গায় হানা দিল ইডি। সেই তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী সহ ৭ হেভিওয়েটের বাড়িও। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো তৎকালীন SSC উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। একইসঙ্গে প্রাক্তন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী ও বাগদার চন্দন মণ্ডলের বাড়িতেও গিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে এসএসসি দুর্নীতিতে জড়িত আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করতেই এই অভিযান। সাত হেভিওয়েটের সম্পত্তির বিবরণ ও আয় ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের টানা জিজ্ঞাসাবাদে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করান ইডি আধিকারিকেরাই। এসএসকেএম থেকে চিকিৎসকদের ডেকে পাঠানো হয় পার্থর নাকতলার বাড়িতে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিল্পমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও শুক্রবার হানা দিয়েছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। এসএসসি মামলাতেই এই তল্লাশি কি না, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি। এদিকে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সিবিআই-ইডি ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরেই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বক্তব্য, “সকাল সকাল এসেছেন, বাড়িতে থাকলে দিদির নির্দেশে মুড়ি খাওয়াতাম।” এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ”কেন ২১ জুলাইয়ের পরদিনই আমাদের নেতাদের বাড়িতে গিয়ে জেরা?” পাশাপাশি ইডির অভিযানের কড়া নিন্দাও করেছে ঘাসফুল শিবির।
2. উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে কার্যত হতাশা প্রকাশ করলেন বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভা। টুইটে তাঁর খোঁচা, “এটা ক্রোধ বা অহংয়ের সময় নয়। সাহস করে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময়। আমি আশা করি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সাহসী ব্যক্তিত্ব বিরোধীদের পাশেই থাকবেন।” তাঁর টুইটের পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রায় একতরফাভাবে বিরোধী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও তৃণমূল বৈঠকে হাজির হয়নি বলে দাবি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের। আর এদিন এই ইস্যুতে টুইট করলেন স্বয়ং প্রার্থী। তবে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “বিরোধী প্রার্থী নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বিরোধী ঐক্যে আরও জোর দেওয়া উচিত ছিল। সেটাই বলেছেন আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।